সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

 

স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট, গুম-খুনের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার কায়েম করা হয়েছিল।

 

মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপ্তদের দেয়ার পালা শেষে, শুধু জীবিতদের পুরস্কার দেয়ার নিয়ম করার আশা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জীবনদ্বীপে পুরস্কার প্রাপ্তদের এই সম্মাননা গ্রহণ করতে না পারা বেদনাদায়ক। দেরিতে হলেও তাদের সম্মান প্রদর্শন করতে পেরে দেশের সবাই আনন্দিত।

 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।

 

এ বছর স্বাধীনতা পুরুস্কার পেয়েছেন তারা হলেন, — বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

 

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জনপ্রিয়

বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশের সময়: ০৩:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট, গুম-খুনের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার কায়েম করা হয়েছিল।

 

মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপ্তদের দেয়ার পালা শেষে, শুধু জীবিতদের পুরস্কার দেয়ার নিয়ম করার আশা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জীবনদ্বীপে পুরস্কার প্রাপ্তদের এই সম্মাননা গ্রহণ করতে না পারা বেদনাদায়ক। দেরিতে হলেও তাদের সম্মান প্রদর্শন করতে পেরে দেশের সবাই আনন্দিত।

 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।

 

এ বছর স্বাধীনতা পুরুস্কার পেয়েছেন তারা হলেন, — বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

 

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।