
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কারাবন্দি প্রায় ২৫ জন বাংলাদেশি জুলাইযোদ্ধা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারামুক্তির অপেক্ষায় আছেন। এখনো তাদের দেশে ফেরানোর কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে। স্বজনরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রিয়জনদের মুক্তি ও প্রত্যাবর্তনের জন্য।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমিরাতে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ২৫ বছরের কারাদণ্ড পান প্রবাসী বাংলাদেশি শহীদুল আমিন মুন্না। বর্তমানে তিনি আবুধাবির আল সদর কারাগারে বন্দি। স্বামীর মুক্তির কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুন্নার স্ত্রী।
মুন্নার মতো আরও প্রায় ২৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি এখনো দুবাই ও আবুধাবির বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন—বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও কার্যকর কোনো সহযোগিতা পাননি তারা। বরং অনেক ক্ষেত্রে বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের।
এর আগে সরকার জানিয়েছিল, আমিরাতে আটক জুলাইযোদ্ধাদের দেশে ফেরাতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে তিন দফায় প্রায় ২০০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তবে আবুধাবির কারাগারে এখনো বন্দি রয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমিরাত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে, আমরা বাকিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।”
এদিকে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর আল সদর কারাগারে বন্দি প্রবাসী জুলাইযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মারা যান। তার মরদেহ ১৮ দিন পর, ১০ অক্টোবর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছায়।