শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেস ক্লাব থেকে শিক্ষকদের সরাতে পুলিশের জলকামান

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার সকালে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর আশপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এ সময় শিক্ষকদের কর্মসূচি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায় পুলিশ। তাতে রাজি না হলে জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরাতে জলকামানের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়া হয়। পুলিশের বাধার মুখে পরে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যান আন্দোলনকারীরা। সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

অধ্যক্ষ আজিজী আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ীর বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।’

অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয়

দ্যা ডিসেন্টের অনুসন্ধান : হাদিকে গুলি করার আগে অপরাধীরা তার সাথে জনসংযোগেও ছিলো !

প্রেস ক্লাব থেকে শিক্ষকদের সরাতে পুলিশের জলকামান

প্রকাশের সময়: ০২:২৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার সকালে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর আশপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এ সময় শিক্ষকদের কর্মসূচি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায় পুলিশ। তাতে রাজি না হলে জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরাতে জলকামানের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়া হয়। পুলিশের বাধার মুখে পরে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যান আন্দোলনকারীরা। সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

অধ্যক্ষ আজিজী আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ীর বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।’

অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।