শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি মাসেই তিনটি লঘুচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে একটি লঘুচাপ নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আভাস থাকলেও দেশের সার্বিক আবহাওয়ায় বড় কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে কোনো নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি নেই। কারণ এই সময় পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকবে। তবে মাসের দ্বিতীয় ভাগে মৌসুমি বায়ু সরে যেতে শুরু করলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকলেও এ মাসে সার্বিকভাবে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক থাকবে। তবে দু–এক দিন ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।’

এদিকে, সেপ্টেম্বর মাসের আবহাওয়ার সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত মাসে সারাদেশে গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গেলেও সিলেট অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও কোনো তাপপ্রবাহ ছিল না, তবু মাসজুড়ে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

চলতি মাসেই তিনটি লঘুচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশের সময়: ০৩:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে একটি লঘুচাপ নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আভাস থাকলেও দেশের সার্বিক আবহাওয়ায় বড় কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে কোনো নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি নেই। কারণ এই সময় পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকবে। তবে মাসের দ্বিতীয় ভাগে মৌসুমি বায়ু সরে যেতে শুরু করলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকলেও এ মাসে সার্বিকভাবে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক থাকবে। তবে দু–এক দিন ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।’

এদিকে, সেপ্টেম্বর মাসের আবহাওয়ার সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত মাসে সারাদেশে গড় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গেলেও সিলেট অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও কোনো তাপপ্রবাহ ছিল না, তবু মাসজুড়ে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।