বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় ৫৮৭ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এ বছর গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় মোট ৫৮৭ মন্দির-মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্দির-মণ্ডপে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। মাটির প্রলেপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এগুলো। আর কিছুদিন পর রংতুলির আঁচর পড়বে এসব প্রতিমার শরীরে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বিমল চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মণ্ডপগুলোর মধ্যে- গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৯৩টি, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১০৭টি, পলাশবাড়ী উপজেলায় ৫৬টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১২৯টি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১৩৩টি, ফুলছড়ি উপজেলায় ১৬টি ও সাঘাটা উপজেলায় ৫৩টি রয়েছে।

সাদুল্লাপুর কেন্দ্রীয় বারোয়ারি দুর্গাপূজা মণ্ডপের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) লিটন কুমার সরকার বলেন, এবছরের পঞ্জিকা মতে আগামী আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দুর্গোৎসব। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এ হচ্ছে দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা। হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারিরা ও ভক্তরা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করেছেন মা দূর্গাদেবী।গাইবান্ধা জেলা বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান হয়েছে। সভায় রংপুর ডিআইজি আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন এবং শারদীয় দুর্গোৎসব কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলা বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন এ জেলায় নির্বিঘ্নে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ে উপস্থিত পূজা উদ্‌যাপন কমিটিসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। আর যারা পূজার সময় নৈরাজ্য ও ঝামেলা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

‘অপমানবোধ’ করছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, ভোটের পরে সরে যেতে চান : রয়টার্সের খবর

গাইবান্ধায় ৫৮৭ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

প্রকাশের সময়: ০৩:২৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এ বছর গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় মোট ৫৮৭ মন্দির-মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্দির-মণ্ডপে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। মাটির প্রলেপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এগুলো। আর কিছুদিন পর রংতুলির আঁচর পড়বে এসব প্রতিমার শরীরে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বিমল চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মণ্ডপগুলোর মধ্যে- গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৯৩টি, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১০৭টি, পলাশবাড়ী উপজেলায় ৫৬টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১২৯টি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১৩৩টি, ফুলছড়ি উপজেলায় ১৬টি ও সাঘাটা উপজেলায় ৫৩টি রয়েছে।

সাদুল্লাপুর কেন্দ্রীয় বারোয়ারি দুর্গাপূজা মণ্ডপের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) লিটন কুমার সরকার বলেন, এবছরের পঞ্জিকা মতে আগামী আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দুর্গোৎসব। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এ হচ্ছে দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তা। হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বী পূজারিরা ও ভক্তরা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করেছেন মা দূর্গাদেবী।গাইবান্ধা জেলা বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও আনন্দঘন পরিবেশে উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান হয়েছে। সভায় রংপুর ডিআইজি আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন এবং শারদীয় দুর্গোৎসব কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলা বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন এ জেলায় নির্বিঘ্নে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ে উপস্থিত পূজা উদ্‌যাপন কমিটিসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। আর যারা পূজার সময় নৈরাজ্য ও ঝামেলা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।