বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নুরাল পাগলার দরবারে সংঘর্ষ: পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নূরাল পাগলা’ হিসেবে পরিচিত নুরুল হক মোল্লার দরবার শরীফকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পরে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নূরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। এ সময় নূরাল পাগলার অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দরবার শরীফে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং নূরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলে উত্তেজিত জনতা। সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

ওসি রাকিবুল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের মূল ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

গোয়ালন্দের বাসিন্দা নূরাল পাগলা নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করতেন। সম্প্রতি তার মৃত্যুর পর ভিন্ন রীতিতে, মাটিতে কিছুটা ওপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটিতে কাবা শরীফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। সেখান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে আহতদের প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

নুরাল পাগলার দরবারে সংঘর্ষ: পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশের সময়: ০৫:২৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নূরাল পাগলা’ হিসেবে পরিচিত নুরুল হক মোল্লার দরবার শরীফকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পরে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নূরাল পাগলার দরবারে হামলা চালানো হয়। এ সময় নূরাল পাগলার অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দরবার শরীফে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং নূরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলে উত্তেজিত জনতা। সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

ওসি রাকিবুল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের মূল ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

গোয়ালন্দের বাসিন্দা নূরাল পাগলা নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করতেন। সম্প্রতি তার মৃত্যুর পর ভিন্ন রীতিতে, মাটিতে কিছুটা ওপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটিতে কাবা শরীফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। সেখান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে আহতদের প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়।