বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পর্ক উন্নয়নে সম্মত চীন-ভারত, বদলে যাবে ভূ-রাজনীতি

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরো  এগিয়ে নিতে চায় ভারত। রোববার (৩১ আগস্ট) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠক হয়। বৈঠকে মোদি সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করে।

এছাড়া গত বছরের কাজান বৈঠকের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকনির্দেশনা পেয়েছে। উভয় দেশের প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখ জনগণের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে যুক্ত এবং এটি মানবতার কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ৫ দিন পর প্রতিবেশি দুই বৈরি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মোদি ও শির বৈঠক করেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়েও আলোচনা হয়। এর উত্তরে চীনও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা দিয়েছে।

একই বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেন, ‘চীন ও ভারত প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগিতার অংশীদার। দুই দেশ একে অপরের জন্য হুমকি নয় বরং উন্নয়নের সুযোগ।

মোদিকে তিনি আরো বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত দুই দেশ এই সার্বিক দিকটি মেনে চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল ও  দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারবে।’

এদিকে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মার্কিন শুল্কের কারণে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে। রাশিয়াও ভারতের পাশে থাকার দৃঢ় বার্তা দিয়েছে।

চীনের তিয়ানজিনে এসসিও’র এই সম্মেলন পুরো বিশ্বের হিসেব নিকাশ বদলে দেবে। যার প্রভাব পড়বে ভূ-রাজনীতিতে। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন তা মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স , গ্লোবাল টাইমস ও আল জাজিরা

জনপ্রিয়

‘অপমানবোধ’ করছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, ভোটের পরে সরে যেতে চান : রয়টার্সের খবর

সম্পর্ক উন্নয়নে সম্মত চীন-ভারত, বদলে যাবে ভূ-রাজনীতি

প্রকাশের সময়: ০৩:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরো  এগিয়ে নিতে চায় ভারত। রোববার (৩১ আগস্ট) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠক হয়। বৈঠকে মোদি সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারের পর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করে।

এছাড়া গত বছরের কাজান বৈঠকের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক ইতিবাচক দিকনির্দেশনা পেয়েছে। উভয় দেশের প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখ জনগণের স্বার্থ আমাদের সহযোগিতার সঙ্গে যুক্ত এবং এটি মানবতার কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ৫ দিন পর প্রতিবেশি দুই বৈরি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মোদি ও শির বৈঠক করেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়েও আলোচনা হয়। এর উত্তরে চীনও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা দিয়েছে।

একই বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেন, ‘চীন ও ভারত প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগিতার অংশীদার। দুই দেশ একে অপরের জন্য হুমকি নয় বরং উন্নয়নের সুযোগ।

মোদিকে তিনি আরো বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত দুই দেশ এই সার্বিক দিকটি মেনে চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত চীন-ভারত সম্পর্ক স্থিতিশীল ও  দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পারবে।’

এদিকে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মার্কিন শুল্কের কারণে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে। রাশিয়াও ভারতের পাশে থাকার দৃঢ় বার্তা দিয়েছে।

চীনের তিয়ানজিনে এসসিও’র এই সম্মেলন পুরো বিশ্বের হিসেব নিকাশ বদলে দেবে। যার প্রভাব পড়বে ভূ-রাজনীতিতে। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন তা মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যসূত্র : রয়টার্স , গ্লোবাল টাইমস ও আল জাজিরা