সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিয়ারাপুর স্কুলে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, শিক্ষককে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা!

শামসুর রহমান হৃদয়: গাইবান্ধা সদর উপজেলার পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক রাজিব সুলতানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ের স্টাফরুমে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী শিক্ষক রাজিব সুলতান বিদ্যালয়ের দুই ট্রেড ইন্সট্রাক্টর—জোবায়দুল ইসলাম (৩৩) ও আ. হাই (৩২)-এর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , দুপুর ১২টার দিকে স্টাফরুমে অবস্থানকালে আসামিরা প্রথমে শিক্ষকদের উদ্দেশে উসকানিমূলক কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা ভুক্তভোগী শিক্ষক রাজিবকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। বাধা দিলে জোবায়দুল ইসলাম তার নাকে ঘুষি মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। একইসাথে আব্দুল হাই এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন এবং বুকের ওপর উঠে গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগীর ডাক-চিৎকারে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে জোবায়দুল ইসলামকে আটক করা হয়, তবে আ. হাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।

 

 

শিক্ষক মোমেন সরকার বলেন, “আমরা অনেকেই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম। একজন শিক্ষককে সহকর্মী শিক্ষকের এভাবে মারধর করার দৃশ্য অত্যন্ত দুঃখজনক।”

 

আরেকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, “এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হলো। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।”

 

বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে এসেছি। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। এতে আমরা কী শিক্ষা নেব? আমাদের তো মনে হচ্ছে শিক্ষকরা মারামারিই শেখাচ্ছেন।”

 

 

বিদ্যালয়ের আশপাশের স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের মারামারি শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে নষ্ট করছে। এক অভিভাবক বলেন, “বিদ্যালয়ে যদি শিক্ষকরা মারামারি করেন, তাহলে আমাদের সন্তানরা কীভাবে পড়াশোনা করবে? বিষয়টি প্রশাসনকে কঠোরভাবে দেখতে হবে।”

 

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি জানান,

লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় ও এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জনপ্রিয়

পিয়ারাপুর স্কুলে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, শিক্ষককে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা!

প্রকাশের সময়: ০৪:৩১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

শামসুর রহমান হৃদয়: গাইবান্ধা সদর উপজেলার পিয়ারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক রাজিব সুলতানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ের স্টাফরুমে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী শিক্ষক রাজিব সুলতান বিদ্যালয়ের দুই ট্রেড ইন্সট্রাক্টর—জোবায়দুল ইসলাম (৩৩) ও আ. হাই (৩২)-এর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , দুপুর ১২টার দিকে স্টাফরুমে অবস্থানকালে আসামিরা প্রথমে শিক্ষকদের উদ্দেশে উসকানিমূলক কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা ভুক্তভোগী শিক্ষক রাজিবকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। বাধা দিলে জোবায়দুল ইসলাম তার নাকে ঘুষি মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। একইসাথে আব্দুল হাই এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন এবং বুকের ওপর উঠে গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগীর ডাক-চিৎকারে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে জোবায়দুল ইসলামকে আটক করা হয়, তবে আ. হাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।

 

 

শিক্ষক মোমেন সরকার বলেন, “আমরা অনেকেই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম। একজন শিক্ষককে সহকর্মী শিক্ষকের এভাবে মারধর করার দৃশ্য অত্যন্ত দুঃখজনক।”

 

আরেকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, “এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হলো। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।”

 

বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে এসেছি। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। এতে আমরা কী শিক্ষা নেব? আমাদের তো মনে হচ্ছে শিক্ষকরা মারামারিই শেখাচ্ছেন।”

 

 

বিদ্যালয়ের আশপাশের স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের মারামারি শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে নষ্ট করছে। এক অভিভাবক বলেন, “বিদ্যালয়ে যদি শিক্ষকরা মারামারি করেন, তাহলে আমাদের সন্তানরা কীভাবে পড়াশোনা করবে? বিষয়টি প্রশাসনকে কঠোরভাবে দেখতে হবে।”

 

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি জানান,

লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় ও এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।