
শামসুর রহমান হৃদয়: “তাওহীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় নারীদের অধিকার” শীর্ষক এক আলোচনা সভা আজ গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সকাল ১১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেযবুত তওহীদের গাইবান্ধা জেলা নারী বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নারী-পুরুষসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হেযবুত তওহীদের গাইবান্ধা জেলা নারী বিষয়ক সম্পাদক রহিমা বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা নারী বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আক্তার।
আলোচনা সভার মূখ্য আলোচক ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা।
তিনি বলেন, “নারীর প্রকৃত মুক্তি এবং মর্যাদা কোনো ভোগবাদী সমাজব্যবস্থা দিতে পারে না। বরং তাওহীদভিত্তিক সমাজই পারে নারীকে মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক উম্মে হানী ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেগম রাবেয়া গিনি, সাধারণ সম্পাদক সমঝোতা নারী উন্নয়ন সংস্থা, মাহফুজা খান মিতা, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর, ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড, গাইবান্ধা পৌরসভা।
আঞ্জুয়ারা বেগম, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড, গাইবান্ধা পৌরসভা।
মাধবী সরকার, সদস্য, গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের জেলা সভাপতি জাহিদ হাসান মুকুল, বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস শামিম এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, আজকের বিশ্বে নারী হয় ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা, নয়তো ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্থার শিকার। নারীদের অধিকার ও মর্যাদা কেবল তাওহীদভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থাতেই পূর্ণভাবে নিশ্চিত হতে পারে। তারা বলেন, ইসলাম নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নেতৃত্বের সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু যুগের পর যুগ নারীদের ভুলভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথি বেগম রাবেয়া গিনি তার বক্তব্যে বলেন, “নারীর উন্নয়ন শুধু স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, বাস্তব জীবনে তাদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।” অন্যদিকে মাহফুজা খান মিতা ও আঞ্জুয়ারা বেগম পৌরসভার সাবেক জনপ্রতিনিধি হিসেবে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নারীদের সামাজিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
সভায় বিভিন্ন অতিথি নারী শিক্ষা বিস্তার, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বৃদ্ধি এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
আলোচনা সভা শেষে নারী-পুরুষ সমতার ভিত্তিতে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের শপথ গ্রহণ করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















