
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দণ্ডিত ডজনখানেক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আজ ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) দেশব্যাপী বিক্ষোভ করছে।
এই বিক্ষোভকে “সংঘাত নয়, ন্যায়বিচারের লড়াই”হিসেবে বর্ণনা করেছেন দলের মুখপাত্ররা।
পিটিআই সমর্থকরা মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীতে জড়ো হতে শুরু করেন। আন্দোলনটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ইমরানের কারাবন্দি জীবনের দুই বছর পূর্ণ হলো।
লাহোর থেকে অন্তত ছয় জন প্রাদেশিক আইনপ্রণেতাকে (এমপিএ) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির উপ-প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা মইন কুরেশি।
এছাড়া যেসব এমপিএ গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন-ফারুখ জাভেদ মুন, কর্নেল শোয়েব, নাদিম সাদিক ডোগর, খাজা সালাহউদ্দিন, আমিনুল্লাহ খান এবং ইকবাল খট্টক।
পিটিআই দাবি করেছে, লাহোরে পুলিশ ইতিমধ্যে ৩০০-র বেশি কর্মীকে আটক করেছে এবং দলীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
পাঞ্জাব পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বলা হয়, বয়স্ক সমর্থকদের প্রতিও সরকারের ভয়ই প্রমাণ করে দেয়, ইমরান এখনো মানুষের হৃদয়ে কতটা গেঁথে আছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিকভাবে দলীয় কর্মীদের সমাবেশ শুরু হয়, যেখানে তারা ইমরান খানের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
লাহোরে পিটিআই নেতা শওকত বাসরার নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। দলের পতাকা হাতে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে তারা মিছিল করে এবং ইমরানপন্থী স্লোগান দেয়।
ওকারায় পিটিআই নেতা মেহর আবদুল সাত্তার মোটরসাইকেল র্যালির নেতৃত্ব দেন। সেখানে কর্মীরা স্লোগান দেন, “আমাদের খানকে মুক্তি দাও”। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দিক থেকে দলীয় গাড়িবহর একটি কেন্দ্রীয় স্থানের দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়।
মোহমান্দ জেলায় পিটিআই ইনসাফ ইয়ুথ উইং তাদের কনভয় শুরু করে।
শেখুপুরায় পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির এমপিএ ও পিটিআইয়ের কিসান উইংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াকাস মাহমুদ মান এক প্রতিবাদ কর্মসূচির সূচনা করেন।
এই আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক কৃষক অংশ নেন এবং কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের মুক্তির দাবি জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















