মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিণসিংহায় সংঘবদ্ধ হামলা: ভাঙচুর-লুটপাটে তাণ্ডব!

 

গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর হরিণসিংহা গ্রামে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

 

 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগস্ট ২০২৫, দুপুর আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে  গ্রামের তার পার্শ্ববর্তী আত্মীয় ও প্রতিবেশী একদল ব্যক্তি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার বাড়িতে হামলা চালায়।

 

 

অভিযুক্তরা হলেন—আকবর আলী ওরফে ছোট খোকা (৬০), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৫),  আল আমিন (২৩), মমিন মিয়া (২৭), মরিয়ম বেগম (৪৫) ও আরও কয়েকজন। তারা লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্রসহ দলবদ্ধভাবে শফিকুল ইসলামের বাড়ির আঙিনায় অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

 

 

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা বাড়ির বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে ফেলে, বসতঘরের বেড়া, দরজা-জানালা, মুরগির ঘর, ইটের দেয়াল ও বাউন্ডারি ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। এতে আনুমানিক এক লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবি করা হয়। এছাড়া ঘরের ভেতরে রাখা একটি স্টিলের বাক্সে   থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা লুটে নেয় অভিযুক্ত আকবর আলী ও তার সহযোগীরা।

 

 

ঘটনার সময় শফিকুল ইসলামের মেয়ে শিমু আক্তার (১৬) ও স্বপ্না আক্তার (১২) বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর ধারালো ছুরি ও বঁটির মুখে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে তারা প্রতিবেশীর বাড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়।

 

 

এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে শফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। তার দাবি, অভিযুক্তরা ভূমিদস্যু প্রকৃতির ও মামলা-মোকদ্দমায় অভ্যস্ত। তারা দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে শত্রুতা করে আসছিল।

 

 

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় সাপের কামড়ে মৃত্যুহার কমাতে জেলা প্রশাসকের নিকট TEER-এর স্মারকলিপি প্রদান

হরিণসিংহায় সংঘবদ্ধ হামলা: ভাঙচুর-লুটপাটে তাণ্ডব!

প্রকাশের সময়: ০৪:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

 

গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর হরিণসিংহা গ্রামে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

 

 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ আগস্ট ২০২৫, দুপুর আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে  গ্রামের তার পার্শ্ববর্তী আত্মীয় ও প্রতিবেশী একদল ব্যক্তি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার বাড়িতে হামলা চালায়।

 

 

অভিযুক্তরা হলেন—আকবর আলী ওরফে ছোট খোকা (৬০), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৫),  আল আমিন (২৩), মমিন মিয়া (২৭), মরিয়ম বেগম (৪৫) ও আরও কয়েকজন। তারা লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্রসহ দলবদ্ধভাবে শফিকুল ইসলামের বাড়ির আঙিনায় অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

 

 

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা বাড়ির বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে ফেলে, বসতঘরের বেড়া, দরজা-জানালা, মুরগির ঘর, ইটের দেয়াল ও বাউন্ডারি ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। এতে আনুমানিক এক লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবি করা হয়। এছাড়া ঘরের ভেতরে রাখা একটি স্টিলের বাক্সে   থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা লুটে নেয় অভিযুক্ত আকবর আলী ও তার সহযোগীরা।

 

 

ঘটনার সময় শফিকুল ইসলামের মেয়ে শিমু আক্তার (১৬) ও স্বপ্না আক্তার (১২) বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর ধারালো ছুরি ও বঁটির মুখে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে তারা প্রতিবেশীর বাড়িতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়।

 

 

এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে শফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। তার দাবি, অভিযুক্তরা ভূমিদস্যু প্রকৃতির ও মামলা-মোকদ্দমায় অভ্যস্ত। তারা দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে শত্রুতা করে আসছিল।

 

 

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।