
পঞ্চগড়ে এসআই পরিচয়ে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে মিজানুর রহমান নামে সদর থানার এক কনস্টেবল আটক হয়েছেন। এ সময় ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দেওয়া শরিফুল ইসলাম নামে আরেকজনকে আটক করা হয়। রোববার বিকেলে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হচ্ছে।
আটক কনস্টেবল মিজানুর রহমানের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার বৈদ্যনাথপুর এলাকায়। শরিফুল ইসলাম পঞ্চগড় উপজেলার সদরের সাতমেরা পেলকুজোত এলাকার বাসিন্দা। রাতেই তাদের থানায় নেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া এলাকায় মাধব চন্দ্র রায়সহ তিন কিশোর সড়কের পাশে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলছিল। এ সময় আটক কনস্টেবল মিজানুর রহমান সদর থানা পুলিশের এসআই পরিচয় দেন এবং শরিফুল ইসলাম নিজেকে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দেন। তারা জানান, সদর থানায় কিছুক্ষণ আগে মিটিং হয়েছে ক্যাসিনো গেমের বিরুদ্ধে। যদি কাউকে খেলায় পাওয়া যায় তাহলে আটক করা হবে। পরে তারা মাধবকে ক্যাসিনো খেলার অভিযোগে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। মাধবের চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে তাকে ছাড়াতে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে মিজানুর ও শরিফুলকে আটক করে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর আল আমিন, সদর থানার এসআই কাইয়ূম আলীসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় আটক দু’জনকে সেনাসদস্যদের হাতে তুলে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মাধবকে ছেড়ে দিতে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করার পর তাদের সন্দেহ হয়। এরপর তাদের আটক করেন স্থানীয়রা। কয়েকদিন আগেও পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর রহমান দু’জনের কাছে চাঁদা নিয়ে গেছেন বলে শুনেছি।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, আটক পুলিশ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আরেকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।