মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় অটোরিকশা চালক আরিফুল হত্যায় গ্রেফতার ২

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আলোচিত অটোরিকশা চালক আরিফুল মন্ডল (১৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।  সেই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

বুধবার (২ জুলাই) বিকালে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কনফারেন্স এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শিবরাম গ্রামের শহিদুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে নিহত অটোরিকশা চালক আরিফুল মন্ডল প্রতিদিনের মত গত ২৮ জুন শনিবার বিকালে অটো নিয়ে ভাড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।  পরদিন ২৯ জুন রবিবার সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের চাকলিয়ার বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  পরে নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপরেই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ।  পরে উপজেলার মনমথ কালিতলা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন মুশফিক (২৩) ও একই উপজেলার পশ্চিম শিবরাম (বাবুর দীঘিরপার) এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে শান্ত মিয়াকে (১৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পূর্বের কথা কাটাকাটির জের ধরে ২৮ জুন রাতে মোশারফ হোসেন মুশফিক ও শান্ত মিয়া আরিফুল মন্ডলকে উপজেলার চাকুলিয়ার বিলে নিয়ে যায়।  সেখানে আরিফুলকে অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করায়।  পরে গলায় রশি পেচিয়ে তারা দু’জন দুই দিকে টেনে ধরে আরিফুলকে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়।  এরপর আসামীরা উক্ত অটোটি চালিয়ে উপজেলার নতুনহাট নামক এলাকার একটি নির্জন স্থানে গিয়ে অটোটি রেখে বিক্রির উদ্দ্যেশে ব্যাটারি খুলে নিয়ে পালিয়ে যান।

পরে ২৯ জুন রবিবার সকালে চাকুলিয়ার বিল থেকে আরিফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  এরপর (৩০ জুন) সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন মুশফিক। পরে জড়িত থাকায় পলাতক আসামী শান্তকে (১ জুলাই) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  আজ বুধবার বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ, ডিএসবির অফিসার ইর্নচাজ আব্দুল লতিফ, কাওসার আলীসহ অন্যরা।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় অটোরিকশা চালক আরিফুল হত্যায় গ্রেফতার ২

প্রকাশের সময়: ০৫:১১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আলোচিত অটোরিকশা চালক আরিফুল মন্ডল (১৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।  সেই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

বুধবার (২ জুলাই) বিকালে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কনফারেন্স এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শিবরাম গ্রামের শহিদুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে নিহত অটোরিকশা চালক আরিফুল মন্ডল প্রতিদিনের মত গত ২৮ জুন শনিবার বিকালে অটো নিয়ে ভাড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।  পরদিন ২৯ জুন রবিবার সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের চাকলিয়ার বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  পরে নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপরেই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ।  পরে উপজেলার মনমথ কালিতলা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন মুশফিক (২৩) ও একই উপজেলার পশ্চিম শিবরাম (বাবুর দীঘিরপার) এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে শান্ত মিয়াকে (১৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পূর্বের কথা কাটাকাটির জের ধরে ২৮ জুন রাতে মোশারফ হোসেন মুশফিক ও শান্ত মিয়া আরিফুল মন্ডলকে উপজেলার চাকুলিয়ার বিলে নিয়ে যায়।  সেখানে আরিফুলকে অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করায়।  পরে গলায় রশি পেচিয়ে তারা দু’জন দুই দিকে টেনে ধরে আরিফুলকে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়।  এরপর আসামীরা উক্ত অটোটি চালিয়ে উপজেলার নতুনহাট নামক এলাকার একটি নির্জন স্থানে গিয়ে অটোটি রেখে বিক্রির উদ্দ্যেশে ব্যাটারি খুলে নিয়ে পালিয়ে যান।

পরে ২৯ জুন রবিবার সকালে চাকুলিয়ার বিল থেকে আরিফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  এরপর (৩০ জুন) সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন মুশফিক। পরে জড়িত থাকায় পলাতক আসামী শান্তকে (১ জুলাই) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  আজ বুধবার বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ, ডিএসবির অফিসার ইর্নচাজ আব্দুল লতিফ, কাওসার আলীসহ অন্যরা।