মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীতে নিজ ঘর থেকে নব দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নিজ ঘর থেকে রাসেল মিয়া (১৮) ও জুঁই খাতুন (১৫) নামে এক নবদম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

রাসেল ডাকেরপাড়া গ্রামের জাকিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

 

বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে মাস তিনেক আগে রাসেল-জুঁই দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আনন্দেই কাটছিল তাদের জীবন।

কোনো রকম ঝামেলা ছিল না। গতকাল দুপুরেও দুজন এক সঙ্গে পুকুরে গোসল করেছে।

 

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, সোমবার (০২ জুন) রাতে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরদিন সকাল ৭টার দিকে রাসেলের মা রাশিদা বেগম ছেলেকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতর উঁকি দিলে দেখেন, রাসেল ও তার স্ত্রী ঘরের বাঁশের ধর্ণার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

রাসেল গলায় গামছা ও জুই আক্তার ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। তাৎক্ষণিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জনপ্রিয়

পলাশবাড়ীতে নিজ ঘর থেকে নব দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময়: ০৫:৫৪:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নিজ ঘর থেকে রাসেল মিয়া (১৮) ও জুঁই খাতুন (১৫) নামে এক নবদম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

রাসেল ডাকেরপাড়া গ্রামের জাকিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

 

বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে মাস তিনেক আগে রাসেল-জুঁই দম্পতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আনন্দেই কাটছিল তাদের জীবন।

কোনো রকম ঝামেলা ছিল না। গতকাল দুপুরেও দুজন এক সঙ্গে পুকুরে গোসল করেছে।

 

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, সোমবার (০২ জুন) রাতে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরদিন সকাল ৭টার দিকে রাসেলের মা রাশিদা বেগম ছেলেকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতর উঁকি দিলে দেখেন, রাসেল ও তার স্ত্রী ঘরের বাঁশের ধর্ণার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

রাসেল গলায় গামছা ও জুই আক্তার ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। তাৎক্ষণিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।