মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদী কৃত্য দিবসে নদী রক্ষায় বাপা’র মানববন্ধন

“আমাদের নদী আমাদের ভবিষ্যৎ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় নলেয়া খাল সংলগ্ন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। মানববন্ধনে বক্তারা তিস্তা নদীসহ দেশের সকল নদ-নদীর সীমানা নির্ধারণ, দখল ও দূষণ বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের অস্তিত্ব সংকটে পড়া খালগুলো রক্ষা ও পুনঃখননের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গাইবান্ধার জেলা শাখার সদস্য কনক সরকার বলেন বাংলাদেশের নদী দূষণের কারণে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বিঘ্নিত হলেও ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের কারনে নদী মারা যাচ্ছে। অতী দ্রুত নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ভারতের সাথে চুক্তির মাধ্যমে পানি এনে নদীকে বাঁচানোর আহবান জানান।

 

বাপা’র গুরুত্বপূর্ণ  সদস্য আশিকুর জামান বলেন বাংলাদেশের নদীগুলোতে পানি ফিরিয়ে আনার বদলে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের নামে নদীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক আইনে নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় করে নদীগুলো রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সরন প্রধান বলেন বর্তমানে অনেক নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। উৎসমুখসহ বিভিন্ন স্থানে এসব নদ-নদী ভরাট হয়ে গেছে। এতে ভাটির জনপদে নৌপথ বন্ধ, চাষবাসে সংকট, অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নদী হারাচ্ছে তার বৈশিষ্ট্য, অন্যদিকে দূষণের মাত্রাও বাড়ছে। বিশেষ করে পানিতে বর্জ্য মিশ্রণের ফলে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ভাটির জনপদের নদীগুলো। নদীর প্রতি তাই দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিতে ১৪ মার্চের এই ‘আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস’।

 

(বাপা)’র অন্যতম সদস্য আলিফ সরকার বলেন দেশের বেশির ভাগ নদীই দূষণ ও দখলের শিকার। কারণ ঘরোয়া ও শিল্পবর্জ্য নদীতে ফেলার অপসংস্কৃতি বহুকাল থেকেই চলে আসছে। ছোট-বড় শিল্প-কারখানাগুলো ভারী ধাতুর অপরিশোধিত বর্জ্যগুলো সরাসরি নদীতে ফেলছে। এতে নদী দূষিত ও ভরাট হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

 

উক্ত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সদস্য, জিওন মন্ডল, কাজী আরাফাত, সিয়াম সরকার এবং গ্রীন ভয়েস গাইবান্ধা শাখার সদস্য সোয়াইব আকন্দ, নাজমুল ইসলাম, রিয়াদ সরকার প্রমুখ।

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

নদী কৃত্য দিবসে নদী রক্ষায় বাপা’র মানববন্ধন

প্রকাশের সময়: ০১:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

“আমাদের নদী আমাদের ভবিষ্যৎ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধা জেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় নলেয়া খাল সংলগ্ন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। মানববন্ধনে বক্তারা তিস্তা নদীসহ দেশের সকল নদ-নদীর সীমানা নির্ধারণ, দখল ও দূষণ বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের অস্তিত্ব সংকটে পড়া খালগুলো রক্ষা ও পুনঃখননের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গাইবান্ধার জেলা শাখার সদস্য কনক সরকার বলেন বাংলাদেশের নদী দূষণের কারণে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বিঘ্নিত হলেও ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারের কারনে নদী মারা যাচ্ছে। অতী দ্রুত নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ভারতের সাথে চুক্তির মাধ্যমে পানি এনে নদীকে বাঁচানোর আহবান জানান।

 

বাপা’র গুরুত্বপূর্ণ  সদস্য আশিকুর জামান বলেন বাংলাদেশের নদীগুলোতে পানি ফিরিয়ে আনার বদলে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের নামে নদীর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক আইনে নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় করে নদীগুলো রক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সরন প্রধান বলেন বর্তমানে অনেক নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। উৎসমুখসহ বিভিন্ন স্থানে এসব নদ-নদী ভরাট হয়ে গেছে। এতে ভাটির জনপদে নৌপথ বন্ধ, চাষবাসে সংকট, অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নদী হারাচ্ছে তার বৈশিষ্ট্য, অন্যদিকে দূষণের মাত্রাও বাড়ছে। বিশেষ করে পানিতে বর্জ্য মিশ্রণের ফলে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ভাটির জনপদের নদীগুলো। নদীর প্রতি তাই দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিতে ১৪ মার্চের এই ‘আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস’।

 

(বাপা)’র অন্যতম সদস্য আলিফ সরকার বলেন দেশের বেশির ভাগ নদীই দূষণ ও দখলের শিকার। কারণ ঘরোয়া ও শিল্পবর্জ্য নদীতে ফেলার অপসংস্কৃতি বহুকাল থেকেই চলে আসছে। ছোট-বড় শিল্প-কারখানাগুলো ভারী ধাতুর অপরিশোধিত বর্জ্যগুলো সরাসরি নদীতে ফেলছে। এতে নদী দূষিত ও ভরাট হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

 

উক্ত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সদস্য, জিওন মন্ডল, কাজী আরাফাত, সিয়াম সরকার এবং গ্রীন ভয়েস গাইবান্ধা শাখার সদস্য সোয়াইব আকন্দ, নাজমুল ইসলাম, রিয়াদ সরকার প্রমুখ।