গাইবান্ধায় এ বছর ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ ও সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের ফিতরার এ হার নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মিরাজুল ইসলাম ।এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের ফিতরার হার জানান।
ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য আলফালাহ ক্বওমী মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মো : মামুনুর রশিদ বলেন, আটা, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনিরের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ওই পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্য বা তার বাজারমূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করতে পারবেন। এ পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
উল্লেখ্য , ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য রোজার ঈদে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।
মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।
আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম। খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম। এসব পণ্যের বাজারমূল্য হিসেব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















