শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোবিন্দগঞ্জের দৃষ্টি নন্দন বাঁশের তৈরি মসজিদ

খাইরুল বাশার: মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে মসজিদ এক পবিত্র স্থান।শত শত বছর ধরে বিভিন্ন দেশের স্থাপত্য রীতি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে তৈরি হয়ে আসছে দৃষ্টিনন্দন সব মসজিদ । আধুনিক যুগে ইট- সিমেন্টের সাহায্যে কারুকার্য খচিত মসজিদ তৈরি হলেও ব্যাতিক্রম দেখা গেছে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাঙালি নদীর তীরের বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি মসজিদে ।
উপজেলার মহিমাগঞ্জের পূর্ব বোচাদহ গ্রামে দেওয়ানতলা ব্রিজ সংলগ্ন বাঁশের তৈরি মসজিদটির নির্মাণ শৈলী যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। এই মসজিদে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক মুসল্লী পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করছেন।
মসজিদ সুত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কানাডা প্রবাসীর অর্থায়নে (আর রহমান) আল্লাহ’র নামে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদটিতে ভবনের নকশায় বাঁশকে প্রধান উপাদান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। মসজিদটির কাঠামো নির্মাণের ৯০ শতাংশ বাঁশের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের দেয়াল, ছাদ ও মিম্বর ভিতরের কারুকাজ বাঁশ দিয়ে আকর্ষণীয় ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এর মিনার গুলো বাঁশের কাঠামো দিয়ে তৈরি ।
আর রহমান মসজিদের মুসল্লীরা জানায়, আমাদের এখানে ভালো কোনো জায়গা না থাকায় এবং আমাদের গ্রামটি একেবারে বাঙালি নদীর সাথে হওয়ার কারনেই আমরা এই মসজিদটি পাকা বা সেমি পাকা করে তৈরি করতে পারছি না। নদী ভাঙনের কারনেই অস্থায়ী ভাবে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।
জনপ্রিয়

দ্যা ডিসেন্টের অনুসন্ধান : হাদিকে গুলি করার আগে অপরাধীরা তার সাথে জনসংযোগেও ছিলো !

গোবিন্দগঞ্জের দৃষ্টি নন্দন বাঁশের তৈরি মসজিদ

প্রকাশের সময়: ০৩:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
খাইরুল বাশার: মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে মসজিদ এক পবিত্র স্থান।শত শত বছর ধরে বিভিন্ন দেশের স্থাপত্য রীতি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে তৈরি হয়ে আসছে দৃষ্টিনন্দন সব মসজিদ । আধুনিক যুগে ইট- সিমেন্টের সাহায্যে কারুকার্য খচিত মসজিদ তৈরি হলেও ব্যাতিক্রম দেখা গেছে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাঙালি নদীর তীরের বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি মসজিদে ।
উপজেলার মহিমাগঞ্জের পূর্ব বোচাদহ গ্রামে দেওয়ানতলা ব্রিজ সংলগ্ন বাঁশের তৈরি মসজিদটির নির্মাণ শৈলী যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। এই মসজিদে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক মুসল্লী পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করছেন।
মসজিদ সুত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কানাডা প্রবাসীর অর্থায়নে (আর রহমান) আল্লাহ’র নামে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদটিতে ভবনের নকশায় বাঁশকে প্রধান উপাদান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। মসজিদটির কাঠামো নির্মাণের ৯০ শতাংশ বাঁশের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের দেয়াল, ছাদ ও মিম্বর ভিতরের কারুকাজ বাঁশ দিয়ে আকর্ষণীয় ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এর মিনার গুলো বাঁশের কাঠামো দিয়ে তৈরি ।
আর রহমান মসজিদের মুসল্লীরা জানায়, আমাদের এখানে ভালো কোনো জায়গা না থাকায় এবং আমাদের গ্রামটি একেবারে বাঙালি নদীর সাথে হওয়ার কারনেই আমরা এই মসজিদটি পাকা বা সেমি পাকা করে তৈরি করতে পারছি না। নদী ভাঙনের কারনেই অস্থায়ী ভাবে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে।