বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ের বাঁধায় শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন বন্ধ

আদালতের নির্দেশে ছয় মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আরাফাতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে শহীদের কবর জিয়ারত করে ফিরে এসেছে প্রশাসন। মায়ের কাকুতি মিনতির বাধায় লাশ উত্তোলন করেননি তারা।

 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে যায় প্রশাসন।

 

এ ঘটনায় শহীদের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন কর্তব্যরত প্রসাশনের কর্মকর্তারা। গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল, ইন্সপেক্টর (পিবিআই) গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে সঙ্গীয় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে তার মায়ের আর্তনাদে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে শহীদ আরাফাতের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করা হয়।

 

 

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় তিনি। আরাফাতের বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় থাকেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত সেখানেই বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়তেন।

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

মায়ের বাঁধায় শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন বন্ধ

প্রকাশের সময়: ০৪:৪০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আদালতের নির্দেশে ছয় মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আরাফাতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে শহীদের কবর জিয়ারত করে ফিরে এসেছে প্রশাসন। মায়ের কাকুতি মিনতির বাধায় লাশ উত্তোলন করেননি তারা।

 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে যায় প্রশাসন।

 

এ ঘটনায় শহীদের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন কর্তব্যরত প্রসাশনের কর্মকর্তারা। গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) কুদরত ই খুদা, মুকসুদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল, ইন্সপেক্টর (পিবিআই) গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে সঙ্গীয় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহীদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে তার মায়ের আর্তনাদে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে শহীদ আরাফাতের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করা হয়।

 

 

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয় তিনি। আরাফাতের বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় থাকেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত সেখানেই বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়তেন।