বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কোনো মূল্যে স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘‘স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করে স্বৈরাচারী ভারতে পালিয়ে গেছে। যে কোনো মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে।’’

 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ৪৫ জন শহীদ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং র‌্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর উপহার উপলক্ষে সোনাগাজী সরকারি ছাবের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তারেক রহমান বলেন, ‘‘পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এখন দেশে যে সংস্কারের আলোচনা চলছে, সেই সংস্কার প্রস্তাব বিগত আড়াই বছর পূর্বে আমরাই দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার আমাদের সংস্কার প্রস্তাব আমলে নেয়নি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। কারণ, বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চায়।’’

 

 

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। কীভাবে কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্যে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আপনাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষা, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছেন। কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি করে গেছেন। বর্তমান সরকারের আমলে সংস্কারের নামে সময় যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর না হয়। সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দ্রব্য মূল্যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের কী হবে। তাই জনগণের এসব প্রত্যাশার দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।’’

জনপ্রিয়

ইউথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল সৃজনশীল গাইবান্ধা  

যে কোনো মূল্যে স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশের সময়: ০৪:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘‘স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষকে গুম ও খুন করে স্বৈরাচারী ভারতে পালিয়ে গেছে। যে কোনো মূল্যে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে।’’

 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ৪৫ জন শহীদ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং র‌্যাবের গুলিতে নিহত মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে ঘর উপহার উপলক্ষে সোনাগাজী সরকারি ছাবের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তারেক রহমান বলেন, ‘‘পতিত স্বৈরাচার বিগত ১৭ বছর মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে লড়াই করে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিগত ১৭ বছরের লড়াই এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এখন দেশে যে সংস্কারের আলোচনা চলছে, সেই সংস্কার প্রস্তাব বিগত আড়াই বছর পূর্বে আমরাই দিয়েছিলাম। স্বৈরাচার আমাদের সংস্কার প্রস্তাব আমলে নেয়নি। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। কারণ, বিএনপি দেশ ও জনগণ নিয়ে ভাবে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চায়।’’

 

 

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। কীভাবে কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্যে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আপনাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কীভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনি মেয়েদের শিক্ষা, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছেন। কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি করে গেছেন। বর্তমান সরকারের আমলে সংস্কারের নামে সময় যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর না হয়। সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দ্রব্য মূল্যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের কী হবে। তাই জনগণের এসব প্রত্যাশার দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।’’