
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন আজ (শনিবার)। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বিগত ১৫ বছর ঘটা করে দিনটি পালন করা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার নেই তেমন কোনো আয়োজন। বলা যায়, নীরবে-নিভৃতে কেটে যাচ্ছে ছাত্র-জনতা হত্যার খড়গ মাথায় নিয়ে দেশত্যাগ করা একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই রাজনীতিবিদের জন্মদিন।
এরআগে ২৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের আহ্বান জানিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। যদিও দুপুর পর্যন্ত সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঘটা করে বা ছোট পরিসরে উদযাপনের তেমন কোনো খবর মেলেনি।
পোস্টে দলীয় সভাপতির জন্মদিন উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রার্থনার আয়োজনের কথা বলা হয়। তেমন কোনো খবরও এখন পর্যন্ত মেলেনি।
তবে, ব্যতিক্রম ছিল শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোপালগঞ্জ। সেখানে সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাসে দিনটি উপলক্ষ্যে কেক কাটে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। পরে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। 
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাসহ আশ্রয় নেন প্রতিবেশি দেশ ভারতে। এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন তারা।
এরইমধ্যে তার মন্ত্রিসভায় থাকা অনেক সদস্যকে আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। দফায়-দফায় রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে তাদের। শেখ হাসিনার নামেও দেশের বিভিন্নস্থানে হত্যা মামলা হয়েছে দুই শতাধিক। এরইমধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও উঠেছে।
কালের চিঠি /এএফ
কালের চিঠি ডেস্ক 






















