
বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। বন্যায় পোশাক উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় তুলার সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায়, বর্তমানে সময়মতো অর্ডার সম্পন্ন করা নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক উৎপাদনকারীরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এর ফলে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পোশাকখাতে সৃষ্ট স্থবিরতা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।
শিল্প কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা বলেছেন, টেক্সটাইল এবং গার্মেন্ট শিল্প সমৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তুলা আমদানিকারক দেশ। কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে গত সপ্তাহে অল্প কয়েকটি ট্রাক এবং ট্রেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কারখানায় পণ্য সরবরাহ করতে পেরেছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এ মাসের শুরুতে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া অস্থিরতা ও বিক্ষোভের কারণে পোশাক উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘ডেডলাইনে পণ্য সরবরাহের জন্য শিল্পটি এখন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে এবং দ্রুত সংকট সমাধান না হলে সরবরাহ চেইনের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।’
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতে, ২০২৩ সালে ৩৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ছিল বাংলাদেশ।
রাজধানী ঢাকায় পোশাক কারখানা চালানো রুবানা হক জানান, তিনি এখন লোকসান গুনছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘ধরুন আমাদের মতো একটি মাঝারি আকারের কোম্পানি, যারা প্রতিদিন ৫০ হাজার শার্ট তৈরি করে; একটি সিঙ্গেল শার্টের দাম যদি ৫ ডলার হয়, তাহলে তার আড়াই লাখ ডলারের প্রোডাকশন লস হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু পোশাক কারখানা ধীরে ধীরে উৎপাদন শুরু করছে। তবে অনুমান করা হচ্ছে, পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করতে ‘কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগবে’।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বাংলাদেশি নির্মাতারা অন্যান্য দেশের কাছে ১০% থেকে ১৫% ব্যবসা হারাতে পারে।
কালের চিঠি ডেস্ক 























