
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে ঘুরতে ঘুরতে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় চলে আসে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী (৩০)। সাদুল্লাপুর থানার ওসি ওই নারীকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। সোমবার (১ জুলাই) সকালে তার মা ও ভাইয়ের নিকট তাকে হস্তান্তর করা হয়।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর নাম মাইনুর বেগম। তিনি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামের হিরণ বাদশার স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের মৃত ফরিদ উদ্দীনের মেয়ে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের কদমতলী এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী অস্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর থেকে এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে নারী পুলিশসহ একটি দল ওই নারীকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে। পরের দিন গত রোববার গাইবান্ধায় সাদুল্লাপুর আমলী আদালতে তাকে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক সাদুল্লাপুর থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মোছা. সামসুন্নাহার লতার তত্বাবধানে রেখে তার (ওই নারী) স্বজনদের খোঁজখবর করে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী এলোমেলো কথা বলেন। তখন সারাদেশের ওসিদের হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে ওই নারীর ছবি পাঠান।
তিনি বলেন, ‘তবে তার বাড়ি বুড়িচং থানায় বলে তিনি পুলিশকে জানান। এই কারণে বুড়িচং থানা পুলিশ বিশেষভাবে তার স্বজনদের খোঁজখবর শুরু করেন। একপর্যায়ে তার পরিবারের সন্ধানও পাওয়া যায়।’
ওই নারীর মা ফয়জুন নেছা বলেন, ‘তিন সন্তানের জননী মাইনুর বেগম সম্প্রতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এবং প্রায় দুই মাস আগে তার স্বামীর বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই।’
তিনি আরও জানান, সাদুল্লাপুর থানার ওসি যে মানবিকতা ও মহানুভবতা দেখিয়েছেন সে জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ওই নারীর ভাই ওমর ফারুক তার বোনকে তাদের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সাদুল্লাপুর ও বুড়িচং থানা পুলিশকে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পুলিশের মানবিক সহায়তায় আমরা আমাদের বোনকে পেয়েছি। তাদের এ
ঋণ শোধ করার মত নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















