
ইসরাইলে কর্মরত নাগরিকদের সতর্কতা দিল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য
ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলার শঙ্কায় দেশটিতে কর্মরত নিজ দেশের নাগরিকদের প্রতি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, ‘অধিকতর সতর্কতার অংশ হিসেবে’ দূতাবাস কর্মীদের জেরুজালেমের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
১১ দিন আগে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরাইল। ওই হামলায় ১৩ জন নিহত হন। ইরান এর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টিকে আর বেশিদূর গড়াতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসরাইল অবশ্য কনস্যুলেটে হামলার দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু, ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারাই এর নেপথ্যে ছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল বিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে মদদ দিয়ে থাকে ইরান। হামাস তাদের অন্যতম। গাজায় ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করছে গোষ্ঠীটি। আরও আছে, লেবাননের হেজবুল্লাহ, যারা নিয়মিতই ইসরাইলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।
কনস্যুলেটে হামলায় বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে কুদস্ ফোর্সের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। সিরিয়া ও লেবাননে বাহিনীর কার্যক্রম দেখভাল করতেন তিনি।
হামলাটি এমন সময়ে হলো যখন গাজার যুদ্ধ যাতে পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ইরানের দিক থেকে ‘তীব্র আক্রমণের’ হুমকি আছে। হামলা থেকে রক্ষায় ইসরাইলকে ‘আয়রনক্ল্যাড’ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় কমান্ডার এরিক কুরিল্লার নেতৃত্বে। তিনি ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে কথা বলতে ইসরায়েল সফরে গেছেন।
পেন্টাগন বলছে, সফরটি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। কিন্তু, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে এগিয়ে আনা হয়েছে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপের পর লর্ড ক্যামেরন জানান, স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি… ইরানের উচিত হবে না মধ্যপ্রাচ্যকে বড় সংঘাতের মধ্যে টেনে নিয়ে যাওয়া।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে বৃহস্পতিবার এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়।
তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে যে বিশেষ পর্যালোচনা রয়েছে সেটি তিনি প্রকাশ করবেন না। কিন্তু, এও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ইসরাইলে হুমকির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি আমরা।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও ইসরাইলের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। তাদের ভাষ্য, দেশটির সরকার ইসরাইলি ভূখণ্ডে ইরানের দিক থেকে হামলার শঙ্কা প্রকাশ করছে এবং বলছে, এমন হামলা সংঘাতকে বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে পারে।
ইসরাইলে হামাসের সাতই অক্টোবরের হামলার সময় থেকেই, পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বেশির ভাগ অংশ এবং দখলকৃত ফিলিস্তিন এলাকায় ভ্রমণে সতর্কতা জারি রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, জার্মান বিমান পরিবহন সংস্থা লুফথানসা ইরানের রাজধানী তেহরানে তাদের ফ্লাইট স্থগিতের মেয়াদ শনিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
কালের চিঠি / আশিকুর।
কালের চিঠি ডেস্ক 
























