রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৈলাশটিলায় প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস উৎপাদন করা হবে

দেশে গ্যাসের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন গড়ে আমদানি করা হয় ২৩০ কোটি ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর ঘাটতি পূরণে সরকার ৪৬টি কূপ খনন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যা থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে দৈনিক ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের আশা করছে পেট্রোবাংলা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এবার দেখতে পাচ্ছি, তারা প্রায় একশ’র বেশি জনবল নিয়োগ করেছে। আমরা আশাবাদী, যে কটা কাজ বাপেক্সকে (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড) দেয়া হয়েছে, তারা সময়মতো সেগুলো শেষ করতে পারবে।

পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস কূপ থেকে আগামী চার মাসের মধ্যে দৈনিক ২ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে। সে লক্ষ্যেই কূপগুলোর খনন কাজ চলছে।

নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ২ বছরের মাথায় এটা নিয়ে আসতে পারব। আমাদের টার্গেট হলো ৪৬টি কূপ থেকে প্রায় ৬০০ এমএমসি গ্যাস আমাদের পাইপলাইনে আনতে চাই। বাপেক্সের সবগুলো রিককে এখন কাজে লাগানো হচ্ছে। নিজস্ব কেনা রিক। তাই সাশ্রয়ীভাবে এটা আমরা ব্যবহার করতে পারি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থল ও সমুদ্রে আরও আগে জোরেশোরে গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা গেলে চলমান সংকট অনেকটাই কমে যেতো।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দুর্বলতা বা ভুলটা হয়েছে যে, আগে আমরা এই কাজগুলো গ্রহণ করিনি। এতোদিন বসে ছিলাম। এখন আমরা টের পেয়েছি– বসে থাকাটা ঠিক হয়নি, নিজস্বভাবেই এটা করা যায়। এর ফল পেতে কিন্তু তিন চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই কাজটা যদি পাঁচ বছর আগে করা যেতো, তাহলে গ্যাসটা এখন পাওয়া যেতো। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় সমুদ্রে দ্রুতই অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরুর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

দ্যা ডিসেন্টের অনুসন্ধান : হাদিকে গুলি করার আগে অপরাধীরা তার সাথে জনসংযোগেও ছিলো !

কৈলাশটিলায় প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস উৎপাদন করা হবে

প্রকাশের সময়: ০৬:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

দেশে গ্যাসের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন গড়ে আমদানি করা হয় ২৩০ কোটি ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর ঘাটতি পূরণে সরকার ৪৬টি কূপ খনন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যা থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে দৈনিক ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের আশা করছে পেট্রোবাংলা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এবার দেখতে পাচ্ছি, তারা প্রায় একশ’র বেশি জনবল নিয়োগ করেছে। আমরা আশাবাদী, যে কটা কাজ বাপেক্সকে (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড) দেয়া হয়েছে, তারা সময়মতো সেগুলো শেষ করতে পারবে।

পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস কূপ থেকে আগামী চার মাসের মধ্যে দৈনিক ২ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে। সে লক্ষ্যেই কূপগুলোর খনন কাজ চলছে।

নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ২ বছরের মাথায় এটা নিয়ে আসতে পারব। আমাদের টার্গেট হলো ৪৬টি কূপ থেকে প্রায় ৬০০ এমএমসি গ্যাস আমাদের পাইপলাইনে আনতে চাই। বাপেক্সের সবগুলো রিককে এখন কাজে লাগানো হচ্ছে। নিজস্ব কেনা রিক। তাই সাশ্রয়ীভাবে এটা আমরা ব্যবহার করতে পারি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থল ও সমুদ্রে আরও আগে জোরেশোরে গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা গেলে চলমান সংকট অনেকটাই কমে যেতো।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দুর্বলতা বা ভুলটা হয়েছে যে, আগে আমরা এই কাজগুলো গ্রহণ করিনি। এতোদিন বসে ছিলাম। এখন আমরা টের পেয়েছি– বসে থাকাটা ঠিক হয়নি, নিজস্বভাবেই এটা করা যায়। এর ফল পেতে কিন্তু তিন চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই কাজটা যদি পাঁচ বছর আগে করা যেতো, তাহলে গ্যাসটা এখন পাওয়া যেতো। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় সমুদ্রে দ্রুতই অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরুর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

কালের চিঠি / আলিফ