শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভবিষ্যতে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দেব না :মুচলেকা দিয়ে ভিপি নূর:

 

বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর ভবিষ্যতে আদালত অবমাননা হয় এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না বলে হাইকোর্টের কাছে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।

আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এসময় আদালতে নুরুল হক নূর বলেন, ভবিষ্যতে পাবলিক স্পেসে বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি সতর্ক থাকব। আদালত অবমাননা হয়, এমন কোনো বক্তব্য দেব না।

আদালতে নূরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন নুরুল হক নূর। সেদিন হাইকোর্ট বলেছিলেন, নুরুল হক নূর লিখিত ব্যাখ্যায় ভবিষ্যতে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য না দেয়ার বিষয়ে কোনো অঙ্গীকার করেননি। আদালত বলেন, ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে জুডিশিয়ারির মর্যাদা রক্ষায় যে আদেশ দেয়া দরকার, উচ্চ আদালত সেই আদেশ দেবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন আদালত।

৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে নুরুল হক নূরের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে নুরুল হক নূর আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হয়।

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

ভবিষ্যতে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দেব না :মুচলেকা দিয়ে ভিপি নূর:

প্রকাশের সময়: ০১:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

 

বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর ভবিষ্যতে আদালত অবমাননা হয় এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না বলে হাইকোর্টের কাছে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।

আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এসময় আদালতে নুরুল হক নূর বলেন, ভবিষ্যতে পাবলিক স্পেসে বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি সতর্ক থাকব। আদালত অবমাননা হয়, এমন কোনো বক্তব্য দেব না।

আদালতে নূরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন নুরুল হক নূর। সেদিন হাইকোর্ট বলেছিলেন, নুরুল হক নূর লিখিত ব্যাখ্যায় ভবিষ্যতে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য না দেয়ার বিষয়ে কোনো অঙ্গীকার করেননি। আদালত বলেন, ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে জুডিশিয়ারির মর্যাদা রক্ষায় যে আদেশ দেয়া দরকার, উচ্চ আদালত সেই আদেশ দেবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন আদালত।

৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে নুরুল হক নূরের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে নুরুল হক নূর আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হয়।

কালের চিঠি / আলিফ