শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতিপক্ষের গুলিতে নৌকা সমর্থক নিহত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ নৌকার সমর্থক জিয়ার হোসেন (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

নিহত জিয়ার হোসেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের কেঁদো শেখের ছেলে। নিহতের আরেক ভাই আলতাফ হোসেন একই হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

Shwapno Online Grocery Shopping

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় গত ১২ জানুয়ারি সকালে সাবেক ইউপি সদস্য খালেক ও তার লোকজন জিয়ার ও তার ভাই আলতাফকে গুলি করে। এতে গুরুতর আহত হন তারা।

 

এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় মামলা হয়েছে। জিয়ার সোমবার বিকালের দিকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ।

 

আরও জানা গেছে, কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সঙ্গে কেঁদো শেখের ছেলেদের বহুবছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

 

পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার সকালে বের কালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়। জিয়ার সোমবার বিকালের দিকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

 

নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল বলেন, নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে খালেক ও তার লোকজন আমার দুই ভাইকে গুলি করে আহত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়ার মারা গেছেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, শুক্রবারে গুলিতে আহত দুই ভাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুইদিন আগে পরিবারের লোকজন জিয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করায় জিয়ারকে প্রতিপক্ষ ট্রাক মার্কার লোকজন গুলি করে হত্যা করেছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবারের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন জিয়ার। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জনপ্রিয়

দ্যা ডিসেন্টের অনুসন্ধান : হাদিকে গুলি করার আগে অপরাধীরা তার সাথে জনসংযোগেও ছিলো !

প্রতিপক্ষের গুলিতে নৌকা সমর্থক নিহত

প্রকাশের সময়: ০৫:১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ নৌকার সমর্থক জিয়ার হোসেন (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

নিহত জিয়ার হোসেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের কেঁদো শেখের ছেলে। নিহতের আরেক ভাই আলতাফ হোসেন একই হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

Shwapno Online Grocery Shopping

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় গত ১২ জানুয়ারি সকালে সাবেক ইউপি সদস্য খালেক ও তার লোকজন জিয়ার ও তার ভাই আলতাফকে গুলি করে। এতে গুরুতর আহত হন তারা।

 

এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় মামলা হয়েছে। জিয়ার সোমবার বিকালের দিকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ।

 

আরও জানা গেছে, কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সঙ্গে কেঁদো শেখের ছেলেদের বহুবছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

 

পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গত শুক্রবার সকালে বের কালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়। জিয়ার সোমবার বিকালের দিকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

 

নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল বলেন, নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে খালেক ও তার লোকজন আমার দুই ভাইকে গুলি করে আহত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়ার মারা গেছেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, শুক্রবারে গুলিতে আহত দুই ভাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুইদিন আগে পরিবারের লোকজন জিয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করায় জিয়ারকে প্রতিপক্ষ ট্রাক মার্কার লোকজন গুলি করে হত্যা করেছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবারের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন জিয়ার। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।