
ভূমিকম্পে জাপানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলছে। ভূমিকম্পের তৃতীয় দিন বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুরুতর আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৪ জনে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Shwapno Online Grocery Shopping
নিহতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা সিটিতে। এছাড়া সুজু সিটিতে ২২ জন, নানাও সিটিতে ৩ জন, আনামিজুতে ২ জন, নোতো উপদ্বীপে ২ জন, হাকুই সিটিতে একজন, শিগা সিটিতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন।
এখানকার পাঁচটি জেলায় অন্তত ৬০ জন লোক আটকা পড়েছেন। নিখোঁজ এবং আটকে পড়া লোকজনদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এনএইচকে জানাচ্ছে, ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা, সুজু এবং নোতো এলাকার প্রায় সব ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে আশেপাশের অন্তত ১২টি শহরে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে স্থানীয় সরকার কাজ করছে।এদিকে গত সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা সিটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে নোতো উপদ্বীপে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬ কিলোমিটার গভীরে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২৯টি আফটারশক হয়েছে উপদ্বীপে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভূ-কম্পন রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৬।
ভূমিকম্পের পর বড় ধরণের সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল জাপান আবহাওয়া দপ্তর (জেএমএ)। পুর্বাভাস ছিল, প্রায় ৫ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে। ২০১১ সালের প্রলঙ্ককারী সুনামির পর এটিই ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা। কিন্তু ওয়াজিমা বন্দরে ১ দশমিক ২ মিটারেরও বেশি ঢেউ আঘাত হানে।
এরপর মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেয় আবহাওয়া দপ্তর। তবে সুনামি সতর্কতার অধীনে থাকা অঞ্চলগুলির লোকদের আগামী সাত দিন সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই নোতো উপদ্বীপে বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত হতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সামান্য বৃষ্টিপাতেই ভূমিধ্বসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের জিওস্প্যাটিয়াল ইনফরমেশন অথরিটি জানিয়েছে, দেশের জিওডেটিক জরিপ ব্যবস্থা উল্লেখ যোগ্য ভূমি চলাচল রেকর্ড করেছে, ওয়াজিমার একটি রেফারেন্স স্টেশন ১ দশমিক ৩ মিটার পশ্চিমে সরে গেছে। গত বছর জাপান সরকারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে নোটো উপদ্বীপ অঞ্চলে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।





















