রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত পথচারী আবুল কালামের স্ত্রী আইরিন আক্তারকে চাকরি দিচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, আইরিন আক্তারকে ১৬তম গ্রেডে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তার জন্য টিকিট মেশিন অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর ও কাস্টমার রিলেশন সহকারী, এই তিনটি পদ বিবেচনা করা হচ্ছে। এসব পদে মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার বেশি হবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, আইরিনের স্নাতক পড়াশোনা শেষ না হওয়ায় তাকে উচ্চমাধ্যমিক সনদের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রক্রিয়া শেষে নভেম্বরের মধ্যেই তিনি নিয়োগপত্র হাতে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিয়াবাড়ীতে ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে গিয়ে চাকরির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আশ্বাস পেয়েছেন আইরিন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
গত ২৬ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেন। একইসঙ্গে আইরিনকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে সহায়তার অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতের পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সহায়তারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ ব্যাংকে রেখে সেখান থেকে পরিবারটি মাসিক ভিত্তিতে সহায়তা পাবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, “দুর্ঘটনার পর আমরা শুরু থেকেই নিহতের পরিবারের পাশে আছি।”
তিনি আরও বলেন, “তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি এখন তার স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি অনার্স শেষ করলে পদোন্নতির সুযোগও থাকবে।”
আবুল কালামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে। ছোটবেলায় মা বাবা হারিয়ে ভাইবোনদের আশ্রয়ে বড় হয়েছিলেন তিনি। কঠোর পরিশ্রমে নিজের সংসার চালাচ্ছিলেন আবুল কালাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi