আজ (১৩ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস। এটি এমন এক দিন যা ব্যর্থতাকে লজ্জা নয়, বরং শেখা ও বিকাশের অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
দিবসটির সূচনা হয়েছিল ২০১০ সালে ফিনল্যান্ডের আলটো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর উদ্যোগে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল—ব্যর্থতার ভয়ে নতুন উদ্যোগ নিতে মানুষ যেন দ্বিধায় না পড়ে। ‘হ্যাঁ, আমি ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু চেষ্টা করেছিলাম’—এই সাহসিকতার বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তারা শুরু করেন ‘ফেইলিউর ডে’।
যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক রূপ নেয়। বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশে উদ্যোক্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এই দিনটি পালন করে থাকে।
ইউরোনিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডে এখন অনেক কোম্পানি ও উদ্যোক্তা তাদের ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে ভাগ করে নেন। তাদের বিশ্বাস, ব্যর্থতা হলো উদ্ভাবনের অপরিহার্য ধাপ—যেখান থেকে নতুন ধারণা ও সাফল্যের সূচনা হয়।
অন্যদিকে, ইউএস চেম্বার ফাউন্ডেশন বলছে, অনেক ব্যবসা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পণ্যের মান, বিপণন কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে। ফলে ব্যর্থতা এখন আর পতনের প্রতীক নয়, বরং উদ্ভাবন ও উন্নতির পূর্বশর্ত।
বাংলাদেশেও ক্রমবর্ধমান উদ্যোক্তা সংস্কৃতি, স্টার্টআপ এবং ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যর্থতাকে ইতিবাচকভাবে দেখার মানসিকতা বাড়ছে। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাদের প্রাথমিক ব্যর্থতাকে সাফল্যের সোপান হিসেবে বিবেচনা করছেন।
বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস উপলক্ষে আজ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠনে সেমিনার, আলোচনা ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা চলছে। তরুণরা #DayForFailure ও #FailureStories হ্যাশট্যাগে নিজেদের ব্যর্থতার গল্প শেয়ার করছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi