কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তা নদীতীরবর্তী মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত সেতু চালু হচ্ছে আগামী ২৫ আগস্ট। এটি চালু হলে দুই জেলার কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে। তারা আশা করছেন, সেতুটি তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ঘাট এলাকায় এ সেতু নির্মিত হয়েছে। সেতুটির অপর প্রান্তে কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাট। গাইবান্ধা এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, সৌদি সরকারের অর্থায়নে এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে সেতুটি। সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৯০ মিটার ও প্রস্থ ৯ দশমিক ৬ মিটার। মূল সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, সংযোগ সড়কসহ মোট ব্যয় ধরা হয় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুটির মোট পিলার ৩১টি। বর্তমানে উভয় পাশে ৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ চলমান।
২০১৪ সালে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালে সেতু ও সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্নের কথা ছিল। ৪ জুলাই সেতু পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, জুলাই মাসেই সেতুটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে ২ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়। সর্বশেষ আবারও সেটি পিছিয়ে ২৫ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেতু চালুর খবরে উচ্ছ্বসিত তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দর থেকে হরিপুর হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ যেতে ২-৩ ঘণ্টায় উত্তাল নদী পার হতে হয়। সেতু পয়েন্ট থেকে বেলকা বাজার হয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদর, পাঁচপীর বাজার এবং পাঁচপীর বাজার থেকে ধর্মপুর হয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাটলক্ষ্মীপুর বাজার থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহর হয়ে ধাপেরহাট গিয়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সংযোগ। এত পথ পাড়ি দিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় কয়েক লাখ মানুষের। তবে সেতুটি চালু হলে বগুড়া বা ঢাকাগামী মানুষের এই ভোগান্তি দূর হবে।
এলজিইডির সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী জানান, ২৫ আগস্ট নতুন করে সেতুটির উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে
সেদিন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই সেতু।
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi