দেশের প্রতিষ্ঠিত তিন গণমাধ্যমে কর্মরত তিনজন সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ সম্প্রচার সাময়িক স্থগিত রয়েছে। পৃথক এসব ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যমে জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার দীপ্ত টিভির এক স্ক্রলে বলা হয়— ‘অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’ একইসঙ্গে দীপ্ত টিভির একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা জানা যায়নি।
স্বাধীন সাংবাদিকতা বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি: কাদের গনি চৌধুরী
সূত্র বলছে, সম্প্রতি এক সংবাদ প্রতিবেদনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর কাছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ১৪০০ শহীদ’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের জের ধরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই ঘটনার জেরে চ্যানেল আইয়ের আরেক সংবাদকর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে চ্যানেলটির অফিসিয়াল পেজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। যাতে বলা হয়— ‘সংস্কৃতি উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পেশাদারিত্ব প্রদর্শন না করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিষয়ে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষের তদন্ত শুরু ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।’
এদিকে এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. ফজলে রাব্বিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান সই করা অব্যাহতির চিঠিতে বলা হয়— আপনি রিপোটিংয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ পেশাগত দায়িত্ব পালন না করায় আপনাকে ২৯ এপ্রিল থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, ‘এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে। সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে কলও দেওয়া হয়নি। তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে।’
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi