বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দেশে খাদ্য উৎপাদনে রহমতসহ শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে গাইবান্ধার তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা।
এসময় মহান আল্লাহর কাছে পাপ মুক্তিসহ বিশ্ব মুসলিমের মঙ্গল ও নির্যাতিত-নিপীড়িত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন হাজারও মুসল্লি।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১টায়। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা আব্দুল্লাহ শেখ।
এর আগে ফজরের নামাজের পর বয়ান শুরু হয়। মাঝে খাবার বিরতি শেষে হেদায়াতি বয়ান শুরু হয়। পরে ঠিক দুপুর সাড়ে ১২টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে আখেরি মোনাজাত।
এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রাত থেকেই গাইবান্ধা জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এছাড়া শনিবার ভোর থেকে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার লোকজন দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন। ইজতেমার নির্দিষ্ট মাঠ ছাড়াও আশপাশে অবস্থান করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বেলা ১১টার মধ্যেই ইজতেমা মাঠের মূল মঞ্চ থেকে আশপাশের সব জায়গা মুসল্লিদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এবারে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলাও অংশ নেন। পুরুষের পাশাপাশি তারাও সকাল থেকে ইজতেমাস্থলের আশপাশের বাড়িতে অবস্থান করেন।
গাইবান্ধা হাসপাতাল বালুয়া এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। এবারও অনেক মানুষের সঙ্গে মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে নিজের, পরিবার ও দেশের জন্য দোয়া করেছি।
পলাশবাড়ী উপজেলার আজগর আলী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মাঠে ইবাদত বন্দেগি করেছি। আজ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি।
মোয়াজ্জেম বলেন, নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ইজতেমায় এসেছি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। মোনাজাত করলাম। আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির বলেন, আল্লাহ অশেষ রহমতে সুষ্ঠুভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা সমাপ্ত হলো। প্রশাসন, অত্র এলাকাবাসীসহ যারা সময় দিয়েছেন, তাদের সহযোগিতার কারণে এটি সফল হয়েছে।
এএফ/
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi