চার ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে সফরকারী ভারত। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জোহানেসবার্গে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সঞ্জু স্যামসন ও তিলক ভার্মার জোড়া সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে ভারত। স্বাগতিকদের ২৮৪ রানের বিশাল টার্গেট দেয় মেন ইন ব্লু’রা। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষ হবার আগেই ১৪৮ রানে থামে এইডেন মার্করামের দল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে অভিষেক শর্মার উইকেট হারায় ভারত। ১৮ বলে ৩৬ রান করে উইকেটের পেছনে তিনি ক্যাচ দেন শিপমালার বলে। ইনিংসের বাকিটা কেবলই সঞ্জু স্যামসন ও তিলক ভার্মার তাণ্ডব। যেটি ইনিংসের একদম শেষ বল অবধি থামেনি।
দুজনেই এর মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন, একের পর এক চার-ছক্কায় দিশেহারা করেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। তিলক ও স্যামসনের জুটিটি শেষ অবধি না ভেঙে ৮৬ বলে করে ২১০ রান। অনেকগুলো রেকর্ডেও নিজেদের নাম সবার উপরে তুলে দেন তারা।
পুরো ইনিংসে সবমিলিয়ে ২৩টি ছক্কা হাঁকায় ভারত। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দেশের ম্যাচে এত ছক্কা দেখা যায়নি আগে। মাস দুয়েক আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংসে ২২ ছক্কা হাঁকানোর নিজেদের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে মেন ইন ব্লু’রা।
অবশ্য ওই ম্যাচের ২৯৭ রান এখনও টি-টোয়েন্টিতে দুই পূর্ণ সদস্যের ম্যাচে সর্বোচ্চ। তিলক ভার্মা ও সঞ্জুর জুটি এই ফরম্যাটে ভারতের জন্য যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। ৬টি চার ও ৯টি ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৯ রান করে সাঞ্জু স্যামসান ও ৯ চার এবং ১০টি ছক্কায় ৪৭ বলে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক।
ভারতের দেয়া পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। স্রেফ তিন ওভার ও ১০ রানের ভেতর চার উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। রেজা হেনরিকসকে বোল্ড করে শুরু করেন আর্শদ্বীপ সিং।
চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়ার পর স্টাবস ও ডেভিড মিলারের জুটিতে ভর করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে প্রোটিয়ারা। ২৭ বলে ৩৬ রান করা মিলারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন বরুন চক্রবর্তী, ২৯ বলে ৪৩ রান করার পর স্টাবসও আউট হয়ে যান রবির বলে। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পরও আর কেউ দলের হাল ধরতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত বড় হারই সঙ্গী হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের হয়ে ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নেন আর্শদ্বীপ সিং।
উল্লেখ্য, এ জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে সুরিয়াকুমার-হার্দিকরা। ম্যাচ ও সিরিজসেরার দুটি পুরস্কারই ওঠে তিলক ভার্মার হাতে।
কালের চিঠি /এএফ
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi