ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংলাপ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখানোর ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
রোববার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামারিক হামলার নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
“বাংলাদেশ মনে করে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইরানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।”
শনিবার ইরানের রাজধানী তেহরান ও পশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইহুদি দেশটি প্রায় ১০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এ হামলা চালানোর দাবি করলেও ইরান চার সেনা নিহতের পাশাপাশি ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’র কথা বলেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের জঙ্গি বিমানগুলো তেহরানের কাছে ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দু’টি প্রদেশে ‘ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও অন্যান্য সামরিক এলাকায়’ আঘাত হেনেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের মিত্রদের ওপর ইসরায়েলের একের পর এক হামলার প্রেক্ষাপটে ১ অক্টোবর ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে দুই শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। তার জবাবে শনিবার ইরানে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ বলছে, “এ ধরনের উসকানি ইতোমধ্যে অস্থির একটি অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার হুমকিতে ফেলেছে; আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
“সংযম অনুশীলন ও পরবর্তী উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব কাজে লাগাতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশদীরদের আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা জোর দিয়ে বলছি, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল ও তার বাইরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রীতি, সংলাপ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ বলছে, “দীর্ঘমেয়াদি শান্তির একমাত্র পথ হচ্ছে কূটনীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।”
কালের চিঠি /কেএনকে