জীবন এখন অনেকটাই যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়েছে তাইতো ১০ থেকে ১৫ মিনিটের হাঁটার পথেও মানুষ ব্যবহার করছে মোটরচালিত যানবাহন। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থার বিকাশ হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ এখন পায়ে হেঁটে চলাচলের অভ্যাস হারিয়ে ফেললেও ব্যাতিক্রম গাইবান্ধা জেলার পৌর এলাকার মধ্য গোবিন্দপুরের ৬৭ বছর বয়সী সাদেক আলী সরদার ও তার ৩৮ বছর বয়সী ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।
সম্প্রতি দুই বাবা ছেলে পায়ে হেঁটে ৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে ।শুরুতে শরীর চর্চার অংশ হিসেবে নিয়মিত হাঁটা হাঁটি করলেও পরবর্তীতে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রায় প্রতিদিনই পায়ে হেঁটে পথ চলেন সাদেক আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বাবা সাদেক আলী সরদারের সাথে হাঁটা হাঁটিতে সঙ্গ দিতে ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে বর্তমানে একটি ব্যবসা করছে ।বাবা
ছেলের হাঁটার নেশা এতোই প্রকট যে প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পর থেকে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পথ হাঁটা হাঁটি করেন ।এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে মাত্র পাড়ি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় বাবা ছেলের এমন হাঁটার শখ এখন রীতিমতো অভ্যাসে পরিনত হয়েছে । তাই সকাল কিংবা সন্ধ্যা সময় পেলেই তারা হাঁটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পায়ে হেঁটে পথ চলেন ।
সড়কে নিয়মিত হাঁটা হাঁটি করা এই দুই বাবা ছেলেকে দেখলে অনেকেই তাদের সাহায্য কিংবা ছবি তুলতে এগিয়ে আসে । বাবা ছেলের এমন মধুর ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখে মুগ্ধ হন সকলেই ।
এ বিষয়ে সাদেক আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছি। চাকরিজীবনে হেঁটে বেড়ানোর অনুশীলন ছিল। সে অনুশীলনের অভ্যাস থেকে সারা দেশে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন জাগে। এরই মধ্যে আমরা ৩ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছি । এই সফরে আমার সঙ্গী হয়েছে আমার ছেলে। এতে বাবা-ছেলের সম্পর্ক মধুর ও বন্ধুত্বপূর্ণ হয়েছে।’বাবার ভ্রমণসঙ্গী ছেলে মোস্তাফিজুর বলেন, ‘বাবার স্বপ্ন পূরণে আমি সঙ্গী হতে পেরে গর্ববোধ করছি। এ পর্যন্ত বাবার সঙ্গে ৬০ টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের ইচ্ছা বাবা ছেলে পায়ে হেঁটে ভারত , পাকিস্তান,ইরানসহ ছয়টি দেশ অতিক্রম করে পায়ে হেঁটে হজ্জ পালন করার ,সে লক্ষ্যে ভিসা সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে ।আমরা যেন এ মিশনও সফল করতে পারি এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi