যুক্তরাষ্ট্রে গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের পর আজকেই ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ। কোপার ফাইনাল খেলেই অবসর নেয়া আনহেল ডি মারিয়াকে এই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সম্মাননা দেয়ার ব্যাপারটি আগেই জানা গিয়েছিল। আর্জেন্টিনা দল গা গরম করতে নামার আগেই পরিবার নিয়ে রিভার প্লেটের মাঠে উপস্থিত হন ডি মারিয়া।
আর্জেন্টিনা দলের হয়ে মাঠে তার স্মরণীয় সব মুহূর্ত দেখানো হয় স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে। ব্যাকগ্রাউন্ডে পাঠ করা হয় ডি মারিয়াকে লেখা তার মেয়ে মিয়ার চিঠি। ডান পায়ে গোড়ালির ইনজুরির আর্জেন্টিনায় আসতে পারেনি লিওনেল মেসি। তবে বন্ধুর বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন না তা কী হয়!
মায়ামি থেকে ভিডিও বার্তার মেসি বলেন, আমি দুঃখিত যে, তোমার জন্য এই বিশেষ রাতে আমি সেখানে থাকতে পারিনি। আমি তোমার জন্য পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে একটি দুর্দান্ত রাত উপহার দিতে চেয়েছিলাম। তুমি, আমাদের যা কিছু দিয়েছ এবং যা করেছ তার জন্য তুমি এটি প্রাপ্য। ব্যক্তিগতভাবে, আমরা একে অপরকে বলার মতো সব কিছুই বলে ফেলেছি। কে ভেবেছিল, জাতীয় দলের সঙ্গে সবকিছু এভাবেই শেষ হয়ে যাবে? এক সাথে আমাদের খুব কঠিন সময় গেছে। তারপর আমরা একসাথে বিশ্ব ও কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমরা তোমাকে অনেক মিস করব।
বুয়েনস আইরেসের রিভারপ্লেটের স্টাদিও এল মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে উপস্থিত সমর্থকদের ‘ফিডিও, ফিডিও’ গগনবিদারী চিৎকারে কেঁপে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম।
সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ!, ধন্যবাদ, ফিডিও, কখনও চলে যেও না, সমর্থকদের হাতে শোভা পাচ্ছিল এমন সব পোস্টার। দেশের জার্সিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলে বিদায় জাতীয় দলকে বিদায় জানালেন ডি মারিয়া। বিদায় বেলায় তার ঝুঁলিতে বিশ্বকাপ, দুটি কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও অলিম্পিক স্বর্ণ–৫ টি বড় ট্রফি।
কালের চিঠি /এএফ
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi