সবশেষ ইউরোর ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর তার কান্না ছুঁয়েছিল কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়। ক্যারিয়ারের প্রথমবার বড় কোনো ইভেন্টে গোল করতে না পারার গ্লানি নিয়ে সিআর সেভেন ও তার দল পর্তুগাল বিদায় নেয় টুর্নামেন্টরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই।
এরপর ফুটবল বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ ফুটবলপ্রেমী অনেকেই পর্তুগালের জার্সিতে শেষ দেখে ফেলেছিলেন রোনালদোর। কিন্তু সে গুড়ে বালি। পর্তুগিজ জার্সিতে ২১২ ম্যাচে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ১৩০ গোল করা সিআর সেভেন থামছেন না এখনই। নেশন্স লিগে পর্তুগালের পরবর্তী দুই ম্যাচ ক্রােয়েশিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। যে ম্যাচের স্কোয়াডে আছেন রোনালদো। সিআরসেভেন তাই বলছেন এখনই থামার কোনো পরিকল্পনা নেই তার।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বলেন, ইউরো থেকে বিদায় নিলেও আমি কখনও অবসর নেবার কথা ভাবিনি। যখন সময় আসবে আমি ফুটবলকে বিদায় জানাতে দ্বিতীয়বার ভাববো না। এটা মোটেও কঠিন কাজ হবে না আমার জন্য। যখন আমার মনে হবে দলের জন্য দেবার কিছু নেই, সবার আগে আমি নিজেই খেলাটা ছেড়ে দেবো।
৫ বারের ব্যালন ডিঅর জয়ী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সাম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে রিও ফার্দিনান্দে সাথে আলোচনা জানিয়েছেন ইউরোতে পেনাল্টি মিস করে অঝোরে কাঁদার কারণ। কেননা সিআর সেভেনের সেই কান্নাতেই তার বিদায় দেখেছিল অনেকে।
রোনালদো বলেন, আমি পেনাল্টি মিস করে কোনো চাপে পড়ে কাঁদিনি। ভাবিনি যে পর্তুগাল বিদায় নিলে সব দায় আমার কাঁধে এসে পড়বে। এর আগে সবশেষ ২৭ পেনাল্টির সবকটিতেই গোল করেছিলাম আমি। আমার মন খারপ হয়েছিল কারণ আমার সন্তান, মা, আমার পুরো পরিবার ও সমর্থকদের প্রত্যাশা পুরণ করতে না পারার হাতাশা থেকেই কেঁদে ফেলেছিলাম।
ইউরোতে গোল করতে না পারলেও সেই টুর্নামেন্টের বাঁছাই পর্বে ১০ গোল করেছিলেন রোনালদো। সেই সাথে ইউরোর শুরুর ঠিক আগের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন সিআর সেভেন। তাইতো খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি। আর সুযোগ হলে ক্রোয়েশিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করে সমালোচকদের জবাব দিতে চাইবেন এই কিংবদন্তি।
/আরএফ
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi