সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়োগের দুই দিনের মাথায় পিপি পদে না থাকার ঘোষণা সমাজীর

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার দুই দিনের মাথায় এ পদে না থাকার ঘোষণা দিলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি পিপি পদে না থাকার কারণ উল্লেখ করেছেন।

চিঠিতে এহসানুল হক সমাজী বলেন, অতি সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সূত্রে জ্ঞাত হই যে, আপনার কার্যালয় হইতে ইস্যুকৃত পত্রযোগে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারীকে বিষয়ভুক্ত (মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) পদে নিয়োগ দান করা হইয়াছে। তজ্জন্য আমি উপদেষ্টা মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। উল্লেখ্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নিয়মিত সদস্য হিসেবে সুদীর্ঘ প্রায় ৩৮ বৎসর যাবৎ সকলের জ্ঞাতসারে আমি পেশাগত মর্যাদাকে প্রাধান্য দিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সহিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছি। পেশাগত মর্যাদাকে বজায় রাখার স্বার্থে ও আমার ব্যক্তিগত/পারিবারিক কারণে বিষয়ভুক্ত (মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) পদে যোগদান করিতে অপারগতা প্রকাশ করিতেছি বিধায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়– রাষ্ট্র সংস্কার কার্যে আমার সমর্থন রহিয়াছে এবং প্রশাসনের চাহিত মতে ও ভবিষ্যতে আইনি সেবা দানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করিব।

এর আগে, গত ২৭ আগস্ট নতুন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে এহসানুল হক সমাজীর নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই বছর তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এহসানুল হক সমাজী একজন স্বনামধন্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) কোড, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সংশোধনী সংক্রান্ত কাগজ তৈরির জন্য জাতীয় পরামর্শদাতা ছিলেন।

কালের চিঠি /এএফ

Tag :

নিয়োগের দুই দিনের মাথায় পিপি পদে না থাকার ঘোষণা সমাজীর

Update Time : ১১:১৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার দুই দিনের মাথায় এ পদে না থাকার ঘোষণা দিলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি পিপি পদে না থাকার কারণ উল্লেখ করেছেন।

চিঠিতে এহসানুল হক সমাজী বলেন, অতি সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সূত্রে জ্ঞাত হই যে, আপনার কার্যালয় হইতে ইস্যুকৃত পত্রযোগে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারীকে বিষয়ভুক্ত (মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) পদে নিয়োগ দান করা হইয়াছে। তজ্জন্য আমি উপদেষ্টা মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। উল্লেখ্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নিয়মিত সদস্য হিসেবে সুদীর্ঘ প্রায় ৩৮ বৎসর যাবৎ সকলের জ্ঞাতসারে আমি পেশাগত মর্যাদাকে প্রাধান্য দিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সহিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছি। পেশাগত মর্যাদাকে বজায় রাখার স্বার্থে ও আমার ব্যক্তিগত/পারিবারিক কারণে বিষয়ভুক্ত (মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) পদে যোগদান করিতে অপারগতা প্রকাশ করিতেছি বিধায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়– রাষ্ট্র সংস্কার কার্যে আমার সমর্থন রহিয়াছে এবং প্রশাসনের চাহিত মতে ও ভবিষ্যতে আইনি সেবা দানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করিব।

এর আগে, গত ২৭ আগস্ট নতুন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে এহসানুল হক সমাজীর নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই বছর তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এহসানুল হক সমাজী একজন স্বনামধন্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) কোড, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সংশোধনী সংক্রান্ত কাগজ তৈরির জন্য জাতীয় পরামর্শদাতা ছিলেন।

কালের চিঠি /এএফ