বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার পদত্যাগে গাইবান্ধায় ছাত্র-জনতার বাঁধভাঙা উল্লাস 

প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনার বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন গাইবান্ধার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ব্যানার-পতাকা মাথায় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে গাইবান্ধা শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌর পার্ক এলাকায় বিজয় মিছিল আর স্লোগানে যোগ দিচ্ছেন। বাঁধভাঙা আনন্দে শামিল হয়ে অনেকে বলছেন, দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ার সুখবরে তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন।

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। এমন খবরে সকাল থেকে গাইবান্ধা খানিকটা শান্ত হয়ে যায়। তবে রাস্তায় বিক্ষিপ্তভাবে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, এমন খবর শুনে রাস্তায় বের হওয়ার শুরু করেন সাধারণ মানুষজন। এর সাথে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের লোকজন।

দুপুরের পরে থেকে শহরের  বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে ডিবি রোডে প্রবেশ করেন। সব শ্রেণির মানুষের ঢলে গাইবান্ধার প্রধান এই সড়কটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শহরের এই প্রাণকেন্দ্র দখলে নিয়ে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানান স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। মিছিল করে আর স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান সংকটের মুহূর্তে সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে।

এদিকে বিকাল ৪ টার দিকে আনন্দ মিছিলের মধ্যেই গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় , জেলা জাসদ অফিস, পুলিশ ক্যাফে রেস্টুরেন্ট , রেড ক্রিসেন্ট অফিসসহ  আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার বাড়ি ভাঙচুর , অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে আক্রমণের আশঙ্কায় গতকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল গাইবান্ধার স্থানীয় প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকেই থানা ভবন, উপজেলা পরিষদ ভবন,  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন অফিসের নিরাপত্তা বাড়াতে প্রধান ফটক বন্ধ করে ভিতরে সতর্ক অবস্থানে থাকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

জনপ্রিয়

গাইবান্ধার সাবেক ৬ এমপি সহ ৮০ জন আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

শেখ হাসিনার পদত্যাগে গাইবান্ধায় ছাত্র-জনতার বাঁধভাঙা উল্লাস 

প্রকাশের সময়: ০৫:৫৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনার বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন গাইবান্ধার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। ব্যানার-পতাকা মাথায় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে গাইবান্ধা শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌর পার্ক এলাকায় বিজয় মিছিল আর স্লোগানে যোগ দিচ্ছেন। বাঁধভাঙা আনন্দে শামিল হয়ে অনেকে বলছেন, দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ার সুখবরে তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন।

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন। এমন খবরে সকাল থেকে গাইবান্ধা খানিকটা শান্ত হয়ে যায়। তবে রাস্তায় বিক্ষিপ্তভাবে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, এমন খবর শুনে রাস্তায় বের হওয়ার শুরু করেন সাধারণ মানুষজন। এর সাথে যোগ দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের লোকজন।

দুপুরের পরে থেকে শহরের  বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে ডিবি রোডে প্রবেশ করেন। সব শ্রেণির মানুষের ঢলে গাইবান্ধার প্রধান এই সড়কটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শহরের এই প্রাণকেন্দ্র দখলে নিয়ে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানান স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। মিছিল করে আর স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান সংকটের মুহূর্তে সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে।

এদিকে বিকাল ৪ টার দিকে আনন্দ মিছিলের মধ্যেই গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় , জেলা জাসদ অফিস, পুলিশ ক্যাফে রেস্টুরেন্ট , রেড ক্রিসেন্ট অফিসসহ  আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার বাড়ি ভাঙচুর , অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।

এদিকে আক্রমণের আশঙ্কায় গতকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল গাইবান্ধার স্থানীয় প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকেই থানা ভবন, উপজেলা পরিষদ ভবন,  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন অফিসের নিরাপত্তা বাড়াতে প্রধান ফটক বন্ধ করে ভিতরে সতর্ক অবস্থানে থাকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।