সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা 

দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা , করতোয়া, ঘাঘট  নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে অস্থায়ী চরের  কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।
মঙ্গলবার ২০ জুন  গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ডের  পাওয়া  তথ্য থেকে জানা যায়, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া অংশে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি  ১৮.২৭ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ১৭ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর পানি ১৭ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে  গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করছে। অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা দূর্যোগকালীন  পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতির পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান ,বন্যা কবলিত এলাকায় দূর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ওয়ার্ড ভিত্তিক ভলান্টিয়ার গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরাও সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি ।
Tag :

গাইবান্ধায় নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা 

Update Time : ০৩:২২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
দেশের অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা , করতোয়া, ঘাঘট  নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চলগুলো। তলিয়ে গেছে অস্থায়ী চরের  কিছু ঘরবাড়ি ও সবজির খেত।
মঙ্গলবার ২০ জুন  গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ডের  পাওয়া  তথ্য থেকে জানা যায়, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া অংশে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি  ১৮.২৭ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ১৭ দশমিক ৭৯ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর পানি ১৭ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে  গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করছে। অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা দূর্যোগকালীন  পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতির পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান ,বন্যা কবলিত এলাকায় দূর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ওয়ার্ড ভিত্তিক ভলান্টিয়ার গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরাও সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি ।