আশি-নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ছিলেন সুনেত্রা। বাংলাদেশের সিনেমাতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। সম্প্রতি জানা গেলো, গত এপ্রিলে কলকাতাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই নায়িকা। তিনি বসবাস করতেন সেখানে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
শুক্রবার (১৪ জুন) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবের আমার পছন্দের একজন নায়িকা, চোখের প্রেমে পড়তো যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেকদিন বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায়। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজ হঠাৎ শুনলাম, তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন। নীরবে নিভৃতে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখবো আর আপনাকে মিস করবো।
ভারতের কলকাতায় ১৯৭০ সালের ৭ জুলাইয়ে জন্ম সুনেত্রার। মূল নাম রীনা সুনেত্রা কুমার। মঞ্চ থেকে তার অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়।
বাংলাদেশি পরিচালক মমতাজ আলী তাকে ঢালিউডে আনেন। প্রথম সিনেমা ছিল তখনকার হার্টথ্রব নায়ক জাফর ইকবালের বিপরীতে ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উসিলা।’ ১৯৯০ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘পালকি’ সিনেমাটি সুনেত্রাকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি দিয়েছিল।
বাংলাদেশে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে– পালকি, ভাইবন্ধু, বোনের মতো বোন, যোগাযোগ, ভুল বিচার, সাজানো বাগান, রাজা মিস্ত্রী, ঘর ভাঙ্গা ঘর, কুচবরণ কন্যা মেঘবরণ কেশ, শুকতারা, সুখের স্বপ্ন, রাজা জনি, বাদশা ভাই, ছোবল, ভাই আমার ভাই, দুঃখিনী মা, বন্ধু আমার, বিধান, নাচে নাগিন, সর্পরাণী, বিক্রম, উসিলা, লায়লা আমার লায়লা, শিমুল পারুল, ভাবীর সংসার, আমার সংসার, ধনরত্ন, নির্দয়, উচিত শিক্ষা, ঘরের সুখ, সাধনা, আলাল দুলাল।
কালের চিঠি / আলিফ
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi