আগামী সোমবার (১৭ মে) বাংলাদেশ সময় ভোরে গ্রুপপর্বে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেদিন দেশে পালিত হবে ঈদুল আজহা। ম্যাচে জিতে দেশবাসীর ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে চান টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
নেপালের বিপক্ষে পরাজয় এড়াতে পারলেই ২০০৭ সালের পর আবারও আইসিসি ইভেন্টের সুপার এইটে নাম লেখাবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে ৩ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে সুপার এইটে এক পা দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, অবশ্যই নেপালের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আমাদের। জিততে পারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাব আমরা, যা আমদের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। আমরা সেই ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি। যেহেতু সেদিন ঈদ, সেদিন দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব বলে আশা করছি।
ডাচদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ আট বছর পর টি-টোয়েন্টিতে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি। ম্যাচে ৪৬ বলে ৯ চারে ৬৪ রানের অপরাজিত দারুন এক ইনিংস খেলেছেন টাইগার অলরাউন্ডার। যদিও নিজের অফফর্ম নিয়ে কিছুই ভাবছিলেন না। সাকিব বলেন, নিজেরটা নিয়ে কখনই চিন্তিত ছিলাম না। আমার ক্যারিয়ারে মনে করি না কখনও এরকম চিন্তা করেছি। দলের জন্য যদি অবদান রাখতে পারি, সেটা ভালো লাগে। যেটা বললাম, আজকে হয়তো আমার দিন ছিল। সামনের ম্যাচে হয়ত অন্যকারও দিন আসবে।
পরের ম্যাচেই দলকে জেতানোর পর সাকিবের সামনে রাখা হলো সেই প্রসঙ্গ। দীর্ঘ দিন পর রানে ফেরা, ম্যাচ সেরা পারফরম্যান্স কোনো রকমের জবাব দেওয়া কি না, জানতে চাওয়া হলে দলের জন্য অবদান রাখতে পারার তৃপ্তির কথা বলেন তিনি। সাকিব বলেন, একজন ক্রিকেটার কখনও কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আসে না। ক্রিকেটারের কাজ হলো, সে যদি ব্যাটসম্যান হয় রান করা, দলের জন্য অবদান রাখা। সে যদি বোলার হয়, তার কাজ হচ্ছে ভালো বোলিং করা। উইকেট পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার থাকে। সে যদি ফিল্ডার হয়, তার কাজ হচ্ছে প্রতিটা রান বাঁচানো, যতগুলো ক্যাচ যায়, ততগুলো ধরা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ক্যারিবিয়ান বিশ্বকাপে দারুন পারফরম্যান্স ছিলো টাইগারদের। সেবারও বিশ্বকাপের সুপার এইটে পৌঁছেছিলো তারা। ২০০৯ সালের সফরেও ভালো স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এদিকে সেই ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মাটিতে আরও একটি মাইলফলকের অপেক্ষায় নাজমুল শান্তর দল। ম্যাচ জিতে ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়ার ইতিবাচক কথাও শোনালেন সাকিব। তাই, ভক্তরা আশায় বুক বাঁধতেই পারে এবার।
কালের চিঠি / আলিফ