আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রস্তুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ খুইয়ে ফেলেছে টাইগাররা। যেটি ছিল বেশ অপ্রত্যাশিত। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন তাদের কেউই দুই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারবেন ভাবেননি।
এ সিরিজের আগে মাত্র ২৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তারাই বাংলাদেশকে হারিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অবশ্য সিরিজ জয়ের জন্য স্বাগতিকদের কৃতিত্ব দিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই হতাশার। আমরা এমনটা আশা করিনি। হারাটা অবশ্যই হতাশার। যেকোনো ম্যাচ হারাটাই হতাশাজনক। কেউই আশা করেনি দুইটা ম্যাচ আমরা হেরে যাব, অবশ্যই হতাশাজনক আমাদের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ব্রিব্রতকর এক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দল হিসেবে ১০০ টি-টোয়েন্টি হারের রেকর্ড গড়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের আগেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। দলের এমন ব্যর্থতার কোনো ব্যাখ্যা নেই সাকিবের কাছেও। তিনি বলেন, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি না। সমস্যাটা কোথায় সেটা আমি জানলে দলকে বলতাম। দল অন্যরকম পারফরম্যান্স করত। বিশ্বকাপে এর প্রভাব অবশ্যই পড়তে পারে, আবার নাও পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রকে হালকাভাবে নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে সাকিবের উত্তর, আপনি তা বলতে পারেন। তবে আমার মনে হয় না। প্রথম ম্যাচে হয়তো আমরা যা চেয়েছি তা করতে পারিনি। পরের ম্যাচেও তা হলো। আমরা আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি। আমার মনে হয়নি পিচ এত খারাপ ছিল। আমরা ভালো ব্যাট করিনি। আমাদের আরও ভালো ব্যাট করা উচিত ছিল।
অনেকদিন ধরেই টপ অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারছেন না। কেন এমন হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, আমি বলতে পারবো না। এটার উত্তর আমার কাছে নাই। এরপর সাকিব বলেন, আসলে এটা যদি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ধরে থাকি তাহলে আমাদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের আরও বেশি সেশন হওয়া দরকার ছিল। ফ্যাসিলিটি আরও বেশি থাকা দরকার ছিল। এগুলার কিছুই আমরা পাইনি। একদিন প্রপার নেট সেশন হয়েছে। যেখানে ব্যাটাররা পুরোপুরি সুযোগ পায়নি। এখানে দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে।