সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবিলম্বে সমস্ত সংঘাত বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ফিলিস্তিনে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু মৃত্যুর সাথে লড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে। অবিলম্বে সমস্ত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোবাঁল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নিয়ে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে বর্তমানে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে যাতে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩ হাজার ২০০ ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুকে সেবা দেয়া হচ্ছে। নারীদের শুধু ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে ভাবতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শপিং মল, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।

 

কালের চিঠি /

Tag :

অবিলম্বে সমস্ত সংঘাত বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Update Time : ০৮:১৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু মৃত্যুর সাথে লড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে। অবিলম্বে সমস্ত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আইসিপিডি থার্টি গ্লোবাঁল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম না। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। আমাদের দেশের মানুষ যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে সেই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নিয়ে সকলের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে বর্তমানে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে যাতে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩ হাজার ২০০ ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুকে সেবা দেয়া হচ্ছে। নারীদের শুধু ভুক্তভোগী হিসেবে না দেখে তাদের পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে ভাবতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শপিং মল, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’ স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে এসব উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২১ জন; যা ২০০৬ সালে ছিল হাজারে ৮৪ জন। একইভাবে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ২০০৬ সালের ৩৭০ জন থেকে ১৩৬ জনে হ্রাস পেয়েছে।

 

কালের চিঠি /