এবারই নির্ধারিত কোটার চেয়ে ৪২ হাজার কম মুসল্লি বাংলাদেশ থেকে হজে যাচ্ছেন। গাইডসহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছেন ৪ হাজার ৪শ’ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬শ’ যাচ্ছেন।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সেজন্য স্টেক হোল্ডার ও হজের সাথে সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়গুলো আলোচনা করে কাজ করা হয়েছে। তিনটি এয়ারলাইন্স থেকে বিমান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।
তবে সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়াসহ অনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছে। হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানিয়েছেন, বেশিরভাগ এজেন্সি মালিকের ভিসা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেছেন, হজ যাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সী মালিকদের সৌদি আরবে যেতে হয়। কারণ সেখানে বাড়ির অবস্থা, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখার বিষয় থাকে। মালিকদের যাওয়ার জন্য যে ভিসা দরকার তা ধর্ম মন্ত্রণালয় অ্যারেঞ্জ করে। কিন্তু এ বছর মন্ত্রণালয় এটি করতে পারেনি। তাই অধিকাংশ মালিকরা সৌদি আরব যেতে পারেনি। এটি একটি প্রতিবন্ধকতা।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক বললেন, হজ যাত্রীদের ভিসার আগে বাড়ি ভাড়া করতে হয়। এরপর বাড়ি ভাড়ার বিপরীতে ভিসা হয়। এ কারণেই ভিসা পেতে তাদের দেরি হয়েছে। সরকারিভাবে যারা হজ করতে যাবেন, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। যারা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন, তাদেরও ভিসা হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
এদিকে ভুক্তভোগী এক এজেন্সি মালিক জানান, ভিসা জটিলতায় বাড়ি ভাড়া করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
এম জি ইন্টারনেশনের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা চতুর্মুখী সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি। হাজীদের এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারছি না। ফ্লাইটের শিডিউল করা যাচ্ছে না। এছাড়া সৌদি আরবের বিল পরিশোধের শিডিউলও বজায় রাখা যাচ্ছে না।
হাব সভাপতি জানালেন, হজ যাত্রীদোর ভোগান্তি নিরসন ও সার্বিক সঙ্কট সমাধানে সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন তারা।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা স্বাপেক্ষে আগামী ১৫ বা ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
কালের চিঠি / আলিফ