আগে থেকেই নড়বড়ে দেশের পেঁয়াজের বিপণন কাঠামো। এর মধ্যে ভারত থেকে যোগান বন্ধ। ফলে সদ্য আবাদ হওয়া হালি পেঁয়াজ সংরক্ষণ শুরু হলে দাম যে বাড়বে, সে আভাস আগে থেকেই মিলছিল। ঈদের ছুটিতে টিসিবির কার্যক্রম ও প্রশাসনের তদারকি কম থাকায় সুযোগ আরও বাড়ে।
তাতে ঈদের পরই রকেট গতিতে ছুটছে পেঁয়াজের খুচরা দাম। যদিও বাজারে যোগান বেশি, চাহিদা কম। তারপরও কারওয়ান বাজার আড়তে দেশি হালি পেঁয়াজের পাইকারি দাম ওঠা-নামা করছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা দরে। পাড়া-মহল্লার দোকানে এরই মধ্যে দর ছাড়িয়েছে ৬০ টাকার গন্ডি। পেঁয়াজ পাবনার হলে দর আরও বেশি। অথচ মাত্রই শুরু হলো হালি পেঁয়াজের ভরা মৌসুম।
ব্যবসায়ীদের যুক্তি, ভারতের রফতানি বন্ধের সুযোগ নিচ্ছে অসাধু চক্র। প্রান্তিকে কৃষকের সব পেঁয়াজ এক সাথে কিনে ‘রাখি’ হিসেবে সংরক্ষণ করছেন বড় বেনিয়ারা। সামনে দাম নিয়ন্ত্রণ করবেন তারাই। অনিয়ম এখনই না থামালে সামনে আরও বাড়বে পেঁয়াজের দর।
যদিও বিশ্বের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। তবে, আমদানিতেও পিছিয়ে নেই। প্রতি বছর ভরা মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ পণ্য নষ্ট হবার সুবাদে প্রতিবেশি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আপাতত বেসরকারি খাতে সে সুযোগ নেই। তাতেই পাবনার পাইকারি হাটে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকার আশপাশে। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, গত ১০ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১৫ লাখ টন।
কালের চিঠি / আলিফ