ইসরাইলে প্রথমবারের মতো ইরানের সরাসরি হামলা চালানোর পর উল্লাসে মেতেছে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। ইরানের পাশাপাশি আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ইরাক, অবরুদ্ধ গাজা থেকে কানাডার টরন্টো পর্যন্ত। খবর এপি ও ইরনার।
শনিবার গভীর রাতে হামলার খবর প্রকাশের পর পরই ইরানের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। পতাকা হাতে নিয়ে রাজধানী তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জড়ো হন তারা। কেউ কেউ আসেন গাড়িতে করে। নেচে-গেয়ে তারা প্রকাশ করেন উল্লাস।
এ সময়, ‘ডেথ টু ইসরাইল’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয় ইরানের রাজপথ। উল্লাস প্রকাশে আতশবাজিও ছোড়ে অনেকে। তেহরানে অবস্থিত যুক্তরাজ্য দূতাবাস ও ফিলিস্তিন স্কয়ারে আনন্দ মিছিল করেন অনেক ইরানি।
ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। ফিলিস্তিনের বড় একটি পতাকা নিয়ে অনেকেই জড়ো হন তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ারে।
ইসরাইলের পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত এ হামলা চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানান তারা। সংহতি জানান গাজার নিপীড়িত মানুষের প্রতি।
আনন্দ-উল্লাসে যোগ দেওয়া এক ইরানি নাগরিক বলেন, যুদ্ধ মানুষকে খুশি করে, এমনটা কখনো দেখিনি। কিন্তু আজ রাতে ঘুম বাদ দিয়ে মানুষজন এখানে জড়ো হয়েছেন। তারা বুঝাতে চেয়েছেন এই হামলা আমাদের জন্য কতটা জরুরি।
আরেকজন বলেন, ইসরাইল ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চলবে- এটাই আশা করি।
গাজার নিরীহ মানুষদের প্রতি সংগতি জানিয়ে আরেক ইরানি বলেন, ইসরাইলের শাস্তি হওয়া উচিত। তারা গাজায় যে নৃশংসতা চালিয়েছে তাতে চুপ করে বসে থাকা উচিত না।
ইরানের হামলার খবরে বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন ইরানের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইরাকের জনগণ। খুশিতে তারা রোববার সকালে রাজধানী বাগদাদের রাজপথে নেমে ইরান, ইরাক আর ফিলিস্তিনির পতাকা নিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ-উল্লাস করতে থাকেন তারা। বাগদাদের পাশাপাশি কারবালাসহ বিভিন্ন শহরের রাজপথে নেমে ইরাকিদের এভাবে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
একইভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কানাডার টরেন্টো শহরের বাসিন্দারা। তেমনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইসরাইল অধিকৃত জেরুজালেম শহরের আরব নাগরিকরা।
কালের চিঠি / আশিকুর।