এবারের আইপিএল আসরের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে জয়রথ ছুটিয়ে চলছিল রাজস্থান রয়্যালস। সবশেষ গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে শেষ বলের হারে ছেদ পড়ে তাদের দূরন্ত গতিতে। এবার সেই দুঃখ তারা ভুলেছে পাঞ্জাব কিংসকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে। আরও একটি শেষ ওভারের রোমাঞ্চ শেষে ফিরেছে জয়ের ধারায়। সেইসঙ্গে চার পয়েন্টের ব্যবধানে শীর্ষস্থানটাকে পোক্ত করে নিয়েছে আরও একটু।
আট উইকেটের বিনিময়ে পাঞ্জাবের করা ১৪৭ রান রাজস্থান পেরিয়েছে ১ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে। চাপের মুখে ১০ বলে অপরাজিত ২৭ রান করে দলকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন শিমরন হেটমায়ার।
রান করায় মন্থর গতিতে এগিয়েছে দুই দলই। আজ চোটের কারণে পাঞ্জাব দলে ছিলেন না শিখর ধাওয়ান। রাজস্থান রয়্যালসও পায়নি তাদের ড্যাশিং ওপেনার জস বাটলারকে। তার অভাবে ১৪৮ রানের ছোট লক্ষ্যটাকে একটা সময় বেশ বড় মনে হয়েছে রাজস্থানের জন্য। কাঙ্খিত রান আসেনি পাওয়ার প্লেতে। বাটলারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া তরুণ তানুস কতিয়ান ৩১ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন তিনি। তবে ছন্দে ফেয়ার আভাস দিয়েছেন রাজস্থানের আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল।১৩৯.২৯ স্ট্রাইকরেটে ২৮ বলে করেছেন ৩৯ রান।
১২তম ওভারে কাগিসো রাবাদার চতুর্থ বলে হারশাল প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন জয়সোয়াল, তখন ২ উইকেট হারিয়ে রাজস্থানের সংগ্রহ ৮২ রান। কিন্তু দারুণ এ ভিত্তিটা কাজে লাগাতে পারেনি রাজস্থানের ইন ফর্ম মিডলঅর্ডার। সঞ্জু স্যামসন (১৮), রিয়ান পরাগ (২৩), ধ্রুব জুরেলের (৬) কেউই ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি।
পরে রোভম্যান পাওয়েল ২ চারে ৫ বলে ১১ রান করে ম্যাচের সমীকরণটা ৬ বলে ১০ রানে নামিয়ে দিয়ে আউট হন। বাকি কাজটা সারেন আরেক ক্যারিবীয় শিমরন হেটমায়ার। অর্শদীপ সিংয়ের করা শেষ ওভারের প্রথম ২ বলে কোনো রান না এলেও তৃতীয় ও পঞ্চম বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ১ বল বাকি থাকতেই রাজস্থানকে এনে দেন রোমাঞ্চকর জয়।
অন্যদিকে ধাওয়ান না থাকায় শনিবারের ম্যাচে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ওপেনিংয়েও বদল আনতে হয় পাঞ্জাবকে। কিন্তু টপ অর্ডারের পারফরম্যান্সে তেমন বদল আসেনি। টপ অর্ডারের অন্যতম ভরসা জনি বেয়ারস্টো আজও ব্যর্থ। তরুণ অর্থব তাইদেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। দুজনই আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। ১০ রানে থেমেছেন তিনে নামা প্রভসিমরান সিং। ধাওয়ানের বদলে আজ অধিনায়কত্ব করা স্যাম কারেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬ রান করে আউট হয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
পাঞ্জাবের রান তখন ৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ৫২। শশাঙ্ক সিং ৯ রানে যখন আউট হলেন পাঞ্জাবের রান ৫ উইকেটে ৭০। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, খুব ভালো খেললেও পাঞ্জাবের রান ১৫০ হবে না। শেষ পর্যন্ত করেছে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান করে পাঞ্জাব। জিতেশ শর্মা ২৪ বলে ২৯ রান করে পাঞ্জাবের রানটাকে একশ'র ওপারে নিয়ে যান। বাকি কাজটা করেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও আশুতোষ শর্মা।
লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে ১৪ বলে আসে ২১ রান, আর আশুতোষের ব্যাট থেকে ১৬ বলে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রান। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন দুজনই। ০ রানে লিভিংস্টোনের ক্যাচ ফেলেছেন উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন। আর ৯ রানে থাকতে জীবন পান আশুতোষ; তার ক্যাচ ফেলেছেন সেই স্যামসনই।রাজস্থানের হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ, ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবেশ খানও। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, কুলদীপ সেন, যুজবেন্দ্র চাহাল।
কালের চিঠি/ ফাহিম
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi