গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে সমর্থনের কারণে বয়কটের মুখে পড়েছে ম্যাকডোনাল্ডস। যা প্রভাব ফেলেছে কোম্পানিটির বৈশ্বিক বিক্রিতে। ব্যবসার সেই পতন ঠেকাতে এবার ইসরাইলে থাকা ২২৫টি রেস্তোরাঁর সবগুলোই স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ফের কিনে নিচ্ছে ফাস্ট ফুড জায়ান্টটি।
ফাস্ট ফুড চেইন হিসেবে বিশ্বখ্যাত ম্যাকডোনাল্ড। গত ৩০ বছর ধরে কোম্পানিটির ইসরাইলি শাখার ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল অ্যালোনিয়াল নামে একটি স্থানীয় কোম্পানির হাতে। তবে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরুর পর সে দেশের সেনাদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে বয়কটের মুখে পড়ে অ্যালোনিয়াল। তাদের সঙ্গে ব্যবসা চালাতে থাকায় খোদ ম্যাকডোনাল্ডসও এই বয়কটের ঝড় থেকে রেহাই পাইনি।
এছাড়া গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে সমর্থনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কুয়েত, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানেও বয়কটের মুখে পড়ে ফাস্ট ফুড কোম্পানিটি।
বিক্রি কমায় দিনশেষে টান পড়ে এই ফাস্ট ফুড জায়ান্টের আয়ে। ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে উল্লেখযোগ্য কমে যায় কোম্পানিটির প্রত্যাশিত আয়। একে ইসরাইল-গাজা সংঘাতকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ে অর্থবহ প্রভাব বলে অভিহিত করেন ম্যাকডোনাল্ডের সিইও ক্রিস কেম্পজিনস্কি।
পতন ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত অ্যালোনিয়ালের সঙ্গে পথচলার ইতি টানছে ম্যাকডোনাল্ডস। ইসরাইলে অ্যালোনিয়ালের হাতে থাকা ২২৫টি রেস্তোরাঁ ফের কিনে নিচ্ছে কোম্পানিটি। এসব রেস্তোরাঁয় প্রায় ৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।
ম্যাকডোনাল্ডস ছাড়াও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংখাত ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে অন্যান্য পশ্চিমা ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি, স্টারবাকস ও ইউনিলিভার। যা প্রভাব পড়ে কোম্পানিগুলোর গত বছরের শেষ প্রান্তিকের আয়ে।
কালের চিঠি/ ফাহিম
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi