জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়লেও সে অনুযায়ী মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে বাড়ছে তেল আমদানির খরচ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকলেও মজুদ সক্ষমতার অভাবে সুযোগ নিতে পারে না বাংলাদেশ। তবে জ্বালানি বিভাগ বলছে, সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে ৩০ শতাংশ মজুদ সক্ষমতা বাড়ছে। কীভাবে দু’মাসের মজুদ নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়েও কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জানা গেছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা এক কোটি টন। এর বিপরীতে মজুদ সক্ষমতা মাত্র পনের লাখ টন, যা দিয়ে কম-বেশি এক মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে বড় অংশই রাষ্ট্রায়াত্ব তিন কোম্পানি পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বিতরণের জন্য মজুদ রাখে। আর ইস্টার্ন রিফাইনারিতে মজুদের ক্ষমতা পাঁচ লাখ টনের মতো।
বিভিন্ন সময়ে টালমাটাল থাকে জ্বালানি তেলের বিশ্ব বাজার। নানা শঙ্কায় বহু দেশ বাড়িয়েছে নিজস্ব মজুদের ক্ষমতা। তাই দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ট্যাংকে জমা রাখা কিংবা বিদেশ থেকে দেশের পথে তেল নিয়ে রওনা দেয়া জাহাজে থাকা জ্বালানি মিলে আমাদের ৪৫ দিনের মতো মজুদ আছে। ৬০ দিনের মজুদ রাখতে পারলে ভালো হয়। যুদ্ধসহ যেকোনো তাৎক্ষণিক ধাক্কা সামাল দেয়ার মতো মজুদ রাখা দরকার।
তবে এই অবস্থা বদলাতে কাজ চলছে জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলছেন, সরকারের লক্ষ্য ২ মাসের জ্বালানি তেলের মজুদ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি তেল পরিবহণ ও ব্যবস্থাপনা অটোমেশন হয়ে গেলে সিস্টেম লসও কমে যাবে বলে আশা তার।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তেলের মজুদ বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। খুলনায় একটি ডিপো তৈরি হয়ে গেছে। মহেশাখালীসহ আরও তিনটি প্রায় শেষের পথে। দেশে জ্বালানির মজুদ প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন বাড়ানোর চিন্তা চলছে বলেও জানান তিনি।
কালের চিঠি / আলিফ